1. admin@upokulbarta.news : admin :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
Sustainability with Profitability is Possible-Rezaul Karim Chowdhury ২০২৪-২৫ বাজেটে সব ধরনের তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন মোহনপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন লালমোহনে ৪৮০ টাকা পাওয়ানাকে কেন্দ্র করে মারপিট আহত ৬ শেখ হেলাল উদ্দীন সরকারি কলেজে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন ফকিরহাটে প্রান্তিক খামারিদের প্রদর্শনী দেখে অভিভূত সবাই নিজের বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়ে উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন-রামপালে কেসিসি মেয়র উম্মুক্ত হোন,উদার হোন এবং অন্যদের নেতৃত্বের জন্য স্থান তৈরি করুন-রেজাউল করিম চৌধুরী লালমোহনে চাচা শ্বশুরকে হত্যার হুমকি দিলেন ভাতিজী জামাতা গালকাটা ফরিদ বোরহানউদ্দিনে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

মোহনপুরে গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট শাখা

সহকারী সম্পাদকঃ
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩
  • ১০৪ বার পঠিত

মোঃআলাউদ্দীন মন্ডল রাজশাহীঃ
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি বাজারে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এর এজেন্ট মেসার্স সরকার ফার্মেসী গ্রাহকদের প্রায় অর্ধকোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা টাকার দাবিতে শাখাটির সামনে অবস্থান করেন এবং একপর্যায়ে শাখাটিতে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ এসে পরিবেশ শান্ত করেন। মেসার্স সরকার ফার্মেসীর মালিক উপজেলার বাটুপাড়া গ্রামের ইদ্রিস সরকারের ছেলে আরজেদ সরকার ও তার শ্যালক শাহিন বর্তমানে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।ভুক্তভোগী গ্রাহক সূত্রে জানা গেছে, টাকা জমা দেয়ার রসিদ, কারেন্ট বিল পরিশোধের রসিদ দিলেও সেই অর্থ জমা না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। আর সেই টাকা জমা নিলেও তা একাউন্টে জমা করেননি এজেন্ট মালিক।
জানা গেছে, নুড়িয়াক্ষেত্র গ্রামের মোজাহার আলী গত ১৬ মার্চ মোহনপুর কৃষি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে মৌগাছি বাজারে ডাচ্ বাংলা এজেন্ট শাখায় ৫০ হাজার টাকা জমা দেন। কিন্তু পরদিন সেই টাকা উত্তোলন করতে গেলে তিনি জানতে পারেন তার একাউন্টে কোনই টাকা জমা নেই। হরিফলা গ্রামের মোস্তফা টাকা জমা রাখেন ১ লক্ষ ৭০ হাজার। উত্তোলন করেন মাত্র ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু পরবর্তীতে বাকি ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করতে গেলে তার একাউন্টে মাত্র ১০ হাজার টাকা পান। বাকি টাকা নিয়ে তালবাহানা করতে থাকা শাখার মালিক। কালিগ্রামের মেহের আলী ৮ লক্ষ টাকা একাউন্টে জমা রাখেন। কিন্তু সেই টাকা জমার রসিদ দিলেও একাউন্টে জমা হয় মাত্র ৫৬ টাকা।আরো জানা গেছে, বাটুপাড়া গ্রামের শিউলি বেগম জমা রাখেন ৯০ হাজার। উত্তোলন করেন মাত্র ৩৫ হাজার টাকা। পরবর্তীতে ৫৫ হাজার টাকা তুলতে গেলে একাউন্টে মাত্র ৫ হাজার টাকা আছে বলে জানতে পারেন। এই কারণে তার সংসার ভাংঙার উপক্রম। তিনি আর টাকা ফেরত পাননি। মৌগাছি গ্রামের রেজিয়া বিবি ৫৬ হাজার টাকা জমা রেখে ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। বাকি ৫১ হাজার তিনি আর তুলতে পারেননি। বাটুপাড়া গ্রামের যাদু বেগম ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা জমা করেন কিন্তু তার একাউন্টে কোন টাকাই জমা হয়নি। হরিহরপাড়ার মিনারুলের সিলেট ডাচ্ বাংলা ব্যাংক হতে মৌগাছি এজেন্ট শাখায় জমা হয় ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা কিন্তু কয়েক দিন পর উত্তোলন করতে গেলে জানতে পারেন তার একাউন্টে কোনই টাকা জমা হয়নি। নুড়িয়াক্ষেত্র গ্রামের অনেকে বিদ্যুৎ বিলের টাকা জমা দেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারেন তার টাকা জমাই হয়নি। বিল বকেয়া থাকায় লাইন কেটে দেয়া হয়।

মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম বাদশাহ বলেন, মৌগাছি বাজারে ডাচ্ বাংলা এজেন্ট শাখায় প্রতারিত গ্রাহকদের জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শাখাটি তালাবদ্ধ পায়। তবে মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা