1. admin@upokulbarta.news : admin :
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শেখ হেলাল উদ্দীন সরকারি কলেজ সংলগ্ন নদী শাসনে বাপাউবোর প্রকৌশলী সাতক্ষীরায় জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত স্টীলের আলমারি খুলে টাকা ও স্বর্নের চেইন চুরি: সাজেদুল ও সুব্রত হালদারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ রামপালে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, \ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল পদত্যাগ করলেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম পাঁচ দিন পর শুরু হলো সাতক্ষীরার ভোমরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ইবিএ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ প্লাস্টিকের ভিড়ে বিলুপ্ত ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প লালমোহনে ছলিমউদ্দিন তালুকদার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠিত শেখ হেলাল উদ্দীন সরকারি কলেজে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বর্ষবরণ উৎসব উদযাপন

শিমুলের সাজে সেজেছে প্রকৃতি

ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ
  • আপডেট সময় : বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩
  • ২২০ বার পঠিত

শিমুলের সাজে সেজেছে প্রকৃতি

জেএম.মমিনঃ

দ্বীপ জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে নয়নাভিরাম শিমুল ফুল। নাকে ভেসে আসছে শিমুল ফুলের ঘ্রাণ। প্রকৃতি যেন সাজছে শিমুল ফুলের শোভায় । কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতানে ফাগুনের উত্তাল হাওয়া দিচ্ছে দোলা।বাতাসে দোল খাচ্ছে শিমুল ফুলের রক্তিম আভায়। গাছের ডালে ফুটে থাকা শিমুল ফুলে মানুষের মনকে যেন রাঙিয়ে তুলেছে। সব মিলিযে শিমুল ফুলে এখন বসন্তের হাসি।

সরকারি আব্দুল জব্বার কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিষয়ের সহকারী নীল কমল পাল ও কৃষি শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক এএইচএম মোস্তফা কামাল বলেন, বসন্তের শুরুতে শিমুল গাছে ফুল ফোটে। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বৈশাখ মাসের দিকে ফলগুলো পেকে শুকিয়ে যায়। তখন বাতাসে আপনা আপনিই ফল ফেটে প্রাকৃতিকভাবে তুলার সঙ্গে উড়ে উড়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়া বীজ থেকেই এর জন্ম হয়। প্রাকৃতিকভাবেই শিমুল গাছ বেড়ে উঠছে।

তাছাড়া বালিশ, লেপ ও তোষক তৈরিতে শিমুল তুলার জুড়ি নেই। শিমুল গাছ কেবল সৌন্দর্যই বাড়ায় না এই গাছে রয়েছে নানা উপকারিতা এবং অর্থনৈতিকভাবে ও বেশ গুরুত্ব বহন করছে। প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন হচ্ছে শিমুল গাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজগুণ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এখনো নানা রোগের চিকিৎসায় এ গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে। শিমুল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম বোমবাক্স সাইবা লিন। বীজ ও কাণ্ডের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার হয়।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে শিমুল ফুল। পাশাপাশি বসন্তের সঙ্গে সঙ্গেই প্রকৃতি যেন নিজ রূপে সেজে উঠেছে । রাস্তার দু’পাশে, পুকুরপাড়ে শিমুল গাছে ফুল বাতাশে দোলা খাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। পথচারিসহ দর্শনার্থীদের মন কাড়ছে শিমুল ফুল । লাল ফুলের কারণে পুরো এলাকায় হয়ে উঠেছে রক্তিম আভা।

মেঘনার পাড় এলাকায় ঘুরতে আসা মো. মহসিন মিয়া,আব্দুর রহমান,বকুল বেগম বলেন, শিমুল ফুলের সৌন্দর্য সত্যিই মুগ্ধ করবে যে কাউকে। সময় সুযোগ হয়ে উঠে না ঘুরতে। অনেক দিন ধরে শিমুল ফুল দেখতে পরিকল্পনা ছিল। খুবই ভালো লাগছে।

সাচড়া ইউনিয়নের আকবর ভিটা এলাকায় ঘুরতে আসা রহমান শেখ ও হাফসা, আবুল কালাম বলেন, অনেক দিন পর ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসা। তাই দুজন বিকালে ঘুরতে বের হয়েছেন। বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ে রক্ত রাঙা শিমুল ফুল দেখে সত্যিই অভিভূত।

 

দেউলা ইউনিয়নের এথছহাক মিয়া বলেন, তার ২টি গাছে ভালো শিমুল ফুল এসেছে। আসা যাওয়ার পথে মানুষের নজর কাড়ছে। তিনি আশা করছেন এবার ৪-৫ হাজার টাকার তুলা বিক্রি হবে।

অন্যান্য গাছের মতো এ গাছ কেউ শখ করে রোপণ করে না। নেওয়া হয় না কোনো যত্ন। প্রাকৃতিকভাবেই গাছ বেড়ে ওঠে। এ গাছের প্রায় সব অংশই কাজে লাগে। এর ছাল, পাতা ও ফুল গবাদিপশুর খুব প্রিয় খাদ্য।

বর্তমানে মানুষ এ গাছ কারণে-অকারণে কেটে ফেলছে মানুষ। অতীতে নানা ধরনের প্যাকিং বাক্স তৈরি ও ইটভাটার জ্বালানি, দিয়াশলাইয়ের কাঠি হিসেবে ব্যবহার হলেও সেই তুলনায় রোপণ করা হয়নি। ফলে আজ বিলুপ্তির পথে শিমুল গাছ।

 

কুতুবা ইউনিয়নের বাসিন্দা ইস্রাফিল আলম বলেন, আগে গ্রামে প্রচুর শিমুল গাছ ছিল। এখন আর দেখা যায় না। একটি বড় ধরনের গাছ থেকে তুলা বিক্রি করে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আগের যুগে শিমুল তুলা দিয়ে লেপ, তোশক ও বালিশ তৈরি করা হতো। কিন্তু শিমুল তুলার মূল্য বৃদ্ধিতে গার্মেন্টের জুট কাপড় দিয়ে তৈরি তুলা, পাম্পের তোশক, বালিশসহ পঞ্চ, কাপাশ তুলা আজ স্থান দখল করে নিয়েছে। ‘

লোপ তোষক তৈরির প্রতিষ্ঠান রাকিব বেডিং এর মালিক ইব্রাহিম খোকন বলেন, প্রতিকেজি শিমুল তুলা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রয় হয়।দাম বেশি হওয়ার কারণে এখন মানুষ তুলার পরিবর্তে ফাইবার ও উল দিয়ে লেপ,তোষক বানায়।

বোরহানউদ্দিন উপজেলার বন বিভাগের ফরেস্ট গার্ড(এসডি) মাসুদ রানা বলেন,শিমুল গাছ লাগানোর আলাদা প্রকল্প নাই।তবে আমরা বিভিন্ন রাস্তা ও উপকূলীয় রক্ষা বাধেঁ লাগিয়ে থাকি।

 

বন ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টরা জানান, বাণিজ্যিকভাবে এখন দেশের কোথাও এই শিমুলগাছ বা তুলা চাষ করা হয় না। এটি প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে। যার কারণে শিমুলগাছ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এর তুলাটা খুবই ভালো এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলে মানুষ আসল তুলার মর্ম বুঝত।

 

 

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা