1. admin@upokulbarta.news : admin :
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১০:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাউফলে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু বোরহানউদ্দিনে তরমুজের বাম্পার ফলন ফকিরহাটে আরো ৭৫ পরিবার পেল নিজের ঠিকানা ভোলা কলেজে ফ্রিল্যান্সিং এন্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক কর্মশালা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলে মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন হয়-এমপি শাওন ফকিরহাট ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজে পুরস্কার বিতরণ ফকিরহাট কলকলিয়া জিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন আজিমউদ্দিন লিটন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি” নির্বাচিত কুয়াকাটায় বিভাগীয় জয়েন্ট নিডস অ্যাসেসমেনন্ট গ্রুপের প্রশিক্ষণ শুরু অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রচারে লালমোহন পৌর মহিলা লীগের উঠান বৈঠক

পটুয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় পাঁচ বছরের শিশুর হাত হলো বাঁকা।

সহকারী সম্পাদকঃ
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ২৮ বার পঠিত

টি আই অশ্রু,পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সেলিম মাতবর (রাশেদ) এর ব্যক্তিগত চেম্বারে ভুল চিকিৎসায় আলী বাবর নামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর বাম হাত বাঁকা হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী শিশুর পিতা সিকদার নোমান ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে বিচারের দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সিকদার নোমান।

সংবাদ সম্মেলনে দশমিনা উপজেলার আরজবেগী এলাকার বাসিন্ধা সিকদার নোমান, তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম এবং ৫ বছরের শিশু পুত্র আলী বাবর উপস্থিত ছিলেন। সিকদার নোমান বলেন, ‘গত ১৭ জানুয়ারী আমার ছেলে পাঁ পিছলে পরে গিয়ে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায়। আমি প্রথমে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে বলা হয় এই চিকিৎসা এখানে হবে না, আপনারা ডাক্তার সেলিম মাতবর এর ব্যক্তিগত চেম্বার চাঁদনী ফার্মেসীতে নিয়ে যান। আমি দ্রুত সেখানে নিয়ে গেলে ডাক্তার সেলিম মাতবর জানান, এটি খুব জটিল কেস অপারেশন করতে হবে। এ জন্য তিনি আমার কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবী করেন। আমি তাৎক্ষনিক বিভিন্ন আত্তীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার করে ডাক্তারকে নগদ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। এবং ২৪ জানুয়ারী হাতের প্লাস্টার খোলার দিন বাকী ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। তবে আমার ছেলে হাতের অপারেশন যেভাবে করার কথা ডাক্তার সেভাবে করেনি। ৩০ জানুয়ারী ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে গেলে তিনি পুনরায় এক্সরে করে এবং আরও কিছু ঔষধ পত্র দিয়ে দেন। কিন্তু বাড়ি ফিরে আমার সন্তান ব্যথায় ডাক চিৎকার করতে থাকে। আমি দুই ফেব্রুয়ারী ঢাকার জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল ও পূর্নবাসন কেন্দ্রের ডাঃ তানভীর মাহমুদ এর দশমিনা চেম্বারে দেখালে তিনি রিপোর্ট দেখে দ্রুত আমার ছেলেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থোপেডিকস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ডাঃ এ এফ এম রুহাল হক কে দেখাতে বলেন। আমি গত ৪ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় তাকে দেখালে তিনি সকল চিকিৎসাপত্র দেখে বলেন, ডাঃ সেলিম মাতবর এর চিকিসা ব্যবস্থা সঠিক ছিল না। এমন অবস্থায় আমার সন্তানের বাম হাতটি পঙ্গু হয়ে গেছে। আমি বিচার চাই। এ ঘটনায় আমি আদালতে মামলা করেছি। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সেলিম মাতবর বলেন, আমি যতটুক বই পত্র পড়েছি তাতে আমি কোন ভুল চিকিৎসা করিনি। আর যে সব ডাক্তাররা বলছে আমি ভুল চিকিৎসা করেছি তারা কি কোন লিখিত দিয়েছে ? আমি সুনেছি মামলা হয়েছে, তবে মামলার কাগজ পত্র এখনও পাইনি। কাগজপত্র পেলে আদালতে আমি আমার বক্তব্য উপস্থাপন করবো।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা