1. admin@upokulbarta.news : admin :
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ছবি তোলার অপরাধে সাংবাদিক গ্রেফতার, অত:পর মুক্তি সাতক্ষীরায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশলা ভোলার ৩ উপজেলায় ৩৮ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ভোলার গ্যাস ভিত্তিক ৩৪.৫ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্লান্ট- তীব্র লোডশেডিং এ ২ লাখ গ্রাহক প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে ফকিরহাটের ফুটবল রেফারির পুরস্কার গ্রহণ সাতক্ষীরা টাউন হাইস্কুল গণহত্যা দিবসের কর্মসূচিতে বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও শহীদ স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জোর দাবি সময় টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভোলায় আলোকিত মানুষের মিলন মেলা তজুমদ্দিনে চরফ্যাসনের কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ১০ জনের মনোনয়ন দাখিল Planetary Health Movement: Your Engagement Is Important-Rezaul Karim Chowdhury

পটুয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় পাঁচ বছরের শিশুর হাত হলো বাঁকা।

সহকারী সম্পাদকঃ
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৮০ বার পঠিত

টি আই অশ্রু,পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সেলিম মাতবর (রাশেদ) এর ব্যক্তিগত চেম্বারে ভুল চিকিৎসায় আলী বাবর নামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর বাম হাত বাঁকা হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী শিশুর পিতা সিকদার নোমান ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে বিচারের দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সিকদার নোমান।

সংবাদ সম্মেলনে দশমিনা উপজেলার আরজবেগী এলাকার বাসিন্ধা সিকদার নোমান, তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম এবং ৫ বছরের শিশু পুত্র আলী বাবর উপস্থিত ছিলেন। সিকদার নোমান বলেন, ‘গত ১৭ জানুয়ারী আমার ছেলে পাঁ পিছলে পরে গিয়ে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায়। আমি প্রথমে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে বলা হয় এই চিকিৎসা এখানে হবে না, আপনারা ডাক্তার সেলিম মাতবর এর ব্যক্তিগত চেম্বার চাঁদনী ফার্মেসীতে নিয়ে যান। আমি দ্রুত সেখানে নিয়ে গেলে ডাক্তার সেলিম মাতবর জানান, এটি খুব জটিল কেস অপারেশন করতে হবে। এ জন্য তিনি আমার কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবী করেন। আমি তাৎক্ষনিক বিভিন্ন আত্তীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার করে ডাক্তারকে নগদ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। এবং ২৪ জানুয়ারী হাতের প্লাস্টার খোলার দিন বাকী ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। তবে আমার ছেলে হাতের অপারেশন যেভাবে করার কথা ডাক্তার সেভাবে করেনি। ৩০ জানুয়ারী ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে গেলে তিনি পুনরায় এক্সরে করে এবং আরও কিছু ঔষধ পত্র দিয়ে দেন। কিন্তু বাড়ি ফিরে আমার সন্তান ব্যথায় ডাক চিৎকার করতে থাকে। আমি দুই ফেব্রুয়ারী ঢাকার জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল ও পূর্নবাসন কেন্দ্রের ডাঃ তানভীর মাহমুদ এর দশমিনা চেম্বারে দেখালে তিনি রিপোর্ট দেখে দ্রুত আমার ছেলেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থোপেডিকস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ডাঃ এ এফ এম রুহাল হক কে দেখাতে বলেন। আমি গত ৪ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় তাকে দেখালে তিনি সকল চিকিৎসাপত্র দেখে বলেন, ডাঃ সেলিম মাতবর এর চিকিসা ব্যবস্থা সঠিক ছিল না। এমন অবস্থায় আমার সন্তানের বাম হাতটি পঙ্গু হয়ে গেছে। আমি বিচার চাই। এ ঘটনায় আমি আদালতে মামলা করেছি। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সেলিম মাতবর বলেন, আমি যতটুক বই পত্র পড়েছি তাতে আমি কোন ভুল চিকিৎসা করিনি। আর যে সব ডাক্তাররা বলছে আমি ভুল চিকিৎসা করেছি তারা কি কোন লিখিত দিয়েছে ? আমি সুনেছি মামলা হয়েছে, তবে মামলার কাগজ পত্র এখনও পাইনি। কাগজপত্র পেলে আদালতে আমি আমার বক্তব্য উপস্থাপন করবো।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা