পটুয়াখালীঃ

সদ্য অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে মোঃ শাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে মনোনয়ন দেয়া নিয়ে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হৃদয় আশীষ তার ফেইসবুকে বিরুপ মন্তব্য করে। একটি পোষ্ট দেয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে সমালোর পর পরই জেলা আওয়ামিলীগের সভাপতির হস্তক্ষেপে ওই ছাত্রলীগ নেতা তার প্রোফাইল থেকে পোষ্টটি ডিলেট করেছেন।

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হৃদয় আশীষ তার ফেইসবুকে লিখেছিলেন
“আওয়ামী লীগের মতো এতো বড় রাজনৈতিক দলে রাষ্ট্রপতি দেয়ার মতো বিশ্বস্ত নেতা নাই?
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান সদ্য সাবেক আমলা। রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন সাবেক বিচারপতি। খেলোয়াড়, শিল্পী, অভিনেতা আর ব্যবসায়ীতে ফিলাপ হয়ে যাচ্ছে সংসদীয় আসন।
মাঠে পোড় খাওয়া, রাজনীতির জন্য জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ করা মানুষগুলোর ভবিষ্যত গন্তব্য কি তাহলে?
সুড়ঙ্গের যতদূর নজরে আসে, হতাশার বেড়াজাল ততোই আচ্ছন্ন করে। মাঠের কর্মী হিসাবে একরাশ জিজ্ঞাসা, আওয়ামী রাজনীতি এখন কোন পথে?”

এ বিষয় জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হৃদয় আশিষ বলেন, আমার ফেইসবুক আইডি হ্যাক করে এটি পোষ্ট করা হয়েছে। এটি মূলত ঢাকার এক সিনিয়র সাংবাদিকের পোস্ট ছিল। যা পটুয়াখালী জেলা আওয়ামিলীগের একটি গ্রুপেও পোস্ট করা হয়।’ তবে আইডিটি এখন তার অধীনেই আছে বলে স্বীকার করেন ছাত্র লীগের এই নেতা,তবে এর আগেও কয়েক দফা তার আইডি হ্যাক হবার পর থানায় জিডি করলেও এবার হলেও তিনি থানায় কোন জিডি করেননি।

তিনি অস্বীকার করলে পোস্ট দাতা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হৃদয় আশিষের এই পোস্টটি আরও ৮/৯ জনকে ট্যাগ করেছেন। তার ফেসবুকে আইডিতে দেখা যায়, তিনি নিয়মিত যাদের পোস্ট করেন, এই পোস্ট টিও তাদের ট্যাগ করেছেন।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলামের বক্তব্য,,, এ বিষয়ে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থার গ্রহণ করা হবে‌ কারো ব্যক্তিগত আক্রোশ বা কারো ব্যক্তিগত মতামত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পটুয়াখালী জেলা শাখা মেনে নেবে না। এটা আমরা অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এরকম প্রপাগান্ডা ছড়াবে এমন দুঃসাহস কারও নেই। আমি পোস্ট দাতার বিরুদ্ধে এহনই ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে জিরো টলারেন্স।

এদিকে জেলা আওয়ামিলীগ ও ছাত্রলীগ ছাড়া ফেসবুকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা।