জেএম.মমিন, বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ
যে দিকেই চোখ যাবে সে দিকেই শুধু হলুদ আর হলুদ। ফুলে মধু আহরণে ভিড় করছে মৌমাছিরা । ফুলে ভরা সরিষার খেতের এমন দৃশ্য এখন মন ভরিয়ে দিচ্ছে কৃষকদের। আর সেই ফুলের সাথে ছবি তুলতে পরিবার নিয়ে আসেন অনেকেই ৷ দিগন্ত জোড়া মাঠে সরিষার আবাদ হয়েছে চোখে পড়ার মতো। সরিষা ফুলের মৌ-মৌ গন্ধ চারদিকে। চলতি রবি মৌসুমে ভোলার বোরহানউদ্দিনে সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী চাষীরা ৷ তাই খুশির ঝিলিক দেখা দিয়েছে তাদের মুখে।
ডিসেম্বরে সরিষা আবাদের পর জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে কয়েক দিনের শৈত্য প্রবাহের কারণে ফুল ঝড়ে যাওয়ায় কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লেও বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে চলে আসায় সরিষার ভাল ফলন হয়েছে। এক মাসের মধ্যেই কৃষকের ঘরে উঠবে সরিষা। আমন ধান কাটার পর কয়েক মাসের জন্য পরিত্যক্ত থাকা এ সব জমিতে অতিরিক্ত ফসল হিসাবে বারি-১৪, ১৫, ১৭, ১৮ এবং দেশি ও সাদা জাতের সরিষা আবাদ করেছেন কৃষকেরা।
বাথান বাড়ী গ্রামের কৃষক ইউনুছ মিয়া জানান, এ বছর তিনি ২ একর জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। সামান্য পরিচর্যায়ই ভাল ফুল ও ফলনও হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে ফসল ঘরে উঠাবেন তিনি।
একই গ্রামের ছিদ্দিক মীর জানান, আমি এ বছর ১ একর জমিতে সরিষার চাষ করেছি। প্রতি একর জমিতে সাড়ে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে ৷
দেউলা গ্রামের কৃষক সালেম মাতাব্বর ও তফাজ্জল জানান, এ বছর সরিষার ফুল আসার পর কয়েকদিনের শৈত প্রবাহে অনেক ফুল ঝরে যায়। কিন্তু এখন আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে ফলনও ভালো দেখা যাচ্ছে ৷ বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেশি থাকায় পরিবারে তেলের চাহিদা মিটাতে এবছর অনেকেই সরিষা চাষাবাদ করছে বলে ও জানায় তারা ৷
বোরহানউদ্দিন কৃষি অফিসার এইচএম শামীম জানান, এ বছর বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। আবাদ করা হয়েছে ৬৬০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে ১১০ হেক্টর বেশি ৷ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হবে বলে মনে করছেন তিনি।