বরগুনা প্রতিনিধিঃ

সিমাভির সহায়তায় স্লোব বাংলাদেশের ও ডরপ এর আয়োজনে বরগুনায় স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানের সচিবগনের ওয়াশ পোর্টাল তৈরির উপর গতকাল ১ দিনের প্রশিক্ষন আরডিএফ টাওয়ার বরগুনায় অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষনে সহায়ক একভোর প্রতিনিধি করমথ সহ সিমাভির প্রতিনিধি মোঃ শামসুর রহমান, প্রশিক্ষনে বরগুনা পৌরসভা, পাথরঘাটা, আমতলী, বেতাগী, কলাপাড়া, কলারোয়া পৌরসভার সচিবগন এবং বরগুনা সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদের সচিবগন, সহ স্লোববাংলাদেশ, এইচপি আশা, উত্তোরণ, প্রাক্টিকেল এ্যাকশন এনজিও-র প্রতিনিধিসহ ৩২ জন প্রশিক্ষনে অংশগ্রহন করেন।
প্রতিনিধিগন নিজ নিজ প্রাতিষ্ঠানে ওয়াশ পোর্টাল তৈরি করে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন তথ্য বা ডাটা এন্ট্রি করার আশ্বাস দেন।
প্রশিক্ষণের লক্ষ্য উদ্দেশ্য আলোচনা করতে গিয়ে ভারছুয়ালি অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ওয়াশ এলাইন্সের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর অলোক মজুমদার বলেন, পৃথিবীতে এমন এক সময় এসেছে এখন সকল ধরনের কাজেই অনলাইনের মাধ্যমে করা হয়। পোর্টাল বলতে আমরা বুঝি যে কোন তথ্য এক জায়গায় সন্নিবেশিত করা।

তিনি  আরো বলেন,আপনারা জানেন এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের ১৭ টি লক্ষমাত্রা রয়েছে। তার মধ্যে ৬ নম্বর লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে সকলের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ওয়াশ পোর্টাল তৈরির জন্য আজকের এই প্রশিক্ষন। আপনার প্রতিষ্ঠান এলাকার মধ্যে কি পরিমান মানুষ নরাপদ খাবার পনির আওতায় আছে, কি পরিমান নাই, কতটি নলকূপ সচল আছে, কতটি অচল, কত পরিবারের স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার করে, কত পরিবার অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার করে, কত পরিবারের টয়লেট বসানোর সামর্থ নাই, কত পরিবারের সাবান পানি দিয়ে হাতধোয়ার ব্যবস্থা আছে,কত পরিবারের নাই। আপনার প্রতিষ্ঠান এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির নিরাপদ খাবার পনি, ছাত্র / ছাত্রী ও শিক্ষক কর্মচারীদের আলাদা টয়লেট ব্যবস্থা আছে কিনা। হাতধোয়ার কি পরিমান ব্যবস্থা আছে ইত্যাদি তথ্য এই পোর্টালে কিভাবে সন্নিবেশিত করা যায় তা নিয়েই আজকের প্রশিক্ষণ।
অংশগ্রহণকারীগন মনে করছেন ওয়াশ পোর্টাল ব্যবহারের মাধ্যমে স্ব -স্ব প্রতিষ্ঠান এলাকার অনগ্রসর মানুষের টয়লেট ব্যবস্থা, নিরাপদ খাবার পনির অবস্থা ও হাইজিন অবস্থার বাস্তব চিত্র হাতের কাছে পাওয়া যাবে। অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির যেমন তালিকা তৈরি করা আছে তেমনি অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহারকারী পরিবারের তালিকা চলে আসব। যার ফলে প্রকল্প গ্রহন করতে সহজ হবে এবং এসডিজি লক্ষ্য ২০৩০ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ।