1. admin@upokulbarta.news : admin :
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ছবি তোলার অপরাধে সাংবাদিক গ্রেফতার, অত:পর মুক্তি সাতক্ষীরায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশলা ভোলার ৩ উপজেলায় ৩৮ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ভোলার গ্যাস ভিত্তিক ৩৪.৫ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্লান্ট- তীব্র লোডশেডিং এ ২ লাখ গ্রাহক প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে ফকিরহাটের ফুটবল রেফারির পুরস্কার গ্রহণ সাতক্ষীরা টাউন হাইস্কুল গণহত্যা দিবসের কর্মসূচিতে বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও শহীদ স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জোর দাবি সময় টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভোলায় আলোকিত মানুষের মিলন মেলা তজুমদ্দিনে চরফ্যাসনের কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ১০ জনের মনোনয়ন দাখিল Planetary Health Movement: Your Engagement Is Important-Rezaul Karim Chowdhury

বিএনপি রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ বাধা উপেক্ষা করে জনসমুদ্রে পরিণত

সহকারী সম্পাদক
  • আপডেট সময় : শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৮৮ বার পঠিত

মোঃ আলাউদ্দীন মন্ডল মোহনপুর রাজশাহীঃ

পথে পথে বাধা, ধরপাড়ক, মামলা, মারপিট ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিএনপি রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল বলেছেন, দেশের মানুষ মুক্তি চায়। তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এই সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। রাজনীতি কাঠামোকে হত্যা করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে এই সরকার আন্দোলন করেছে। কিন্তু তারা ক্ষমতায় এসে সেই পদ্ধতি বন্ধ করেছে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।রাজশাহীর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফকরুল বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে পদ্মার ঠাণ্ডা বাতাস গায়ে হু-হু করে লেগেছে। তারপরও আপনারা এখান থেকে এক বিন্দুও সরেন নি। খেয়ে না খেয়ে, কীসের ভালোবাসায়, কীসের তাগিদে আপনারা তিন ধরে এখানে কাটালেন? একটি মাত্র কারণ, আপনারা মুক্তি চান। ভয়াবহ দানবের হাত থেকে আপনারা মুক্তি চান। ১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. জ্জোহা নিজের বুকের রক্ত দিয়ে দিয়েছিলেন। এইরকম অনেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে ৬০০ নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে। এরমধ্যে পাবনার ঈশ্বরদীতে জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ২৫ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে। এটাই এই সরকারের চরিত্র। এভাবে তারা বিরোধীদলকে নির্মুল করে দিতে চায়। এতে কি নির্মুল হয়েছে? রাজশাহীর মানুষ ভয় পেযেছে? পায়নি। আরও উত্তালে জেগে উঠেছে। এই লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতেই হবে।

আওয়ামী লীগ আর কোন রাজনীতি দল নেই। এটা একটা লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে। নিজেরা লুট করে করে সম্পদের পাহাড় করেছে, সাধারণ মানুষকে গরীব করছে। কয়দিন আগে ২৫ জন কৃষককে ২৫ হাজার টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য তাদের জেলথানায় নেওয়া হয়েছিল। আর হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে ব্যাংক খালি করে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা হয় না। মির্জা ফকরুল বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক থেকে ৯টা গায়েবী কোম্পানীকে টাকা দিয়ে ব্যাংক খালি করে দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা বিনামূল্য সার পায়না, ফসলের দাম পায়না। সরকার পরিকল্পিতভাবে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

আমাদের রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। ওই সময় গানপাউডার দিয়ে একটা বাসেই ১১ জনকে হত্যা করেছিল। এই তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ৫টা নির্বাচন হয়ে গেল। এরা ক্ষমতায় আসার পরে কী করল? ওই ব্যবস্থা পাল্টে দিল। কেন, তারা কিছুদিন পরে বুঝতে পারল জনগণ তাদের পছন্দ করছে না। তাই সেটা পাল্টে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা করেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান চাই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। অন্যথা এই দেশে কোন নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কী যেন নাম তার? ওবায়দুল কাদের সাহেব। তিনি বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী সির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান তোমাদেরকে ক্ষমতায় রাখার জন্য বারবার কাটাছেড়া করেছো, সেই সংবিধান? তিনটা অনুচ্ছেদ রেখেঝ, যার অধীনে একটা কথাও বলা যাবে না। সেই সংবিধান চলতে পারে না। এত পেটায়, এত মামলা দেই, তারপরও বিএনপি উঠে আসে কোত্থেকে? বিএনপি মাটি ফুটে বেরিয়ে আসে। এটাই বিএনপি। এ জন্য ভয় পেয়েছে। ১০ তারিখেও ভয় পেয়েছে। আমরা বলেছি, পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশটা করতে চাই। ওদের ঘুম নাই। ঘুম হারাম হয়ে গেছে। নিজের ওপর আস্থা নেই বলে ভয় পান। এই গেল, এই গেল ভাবতে থাকে। বিএনপি এলো, বিএনপি এলো ভাবতে থাকে।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈসা। এছাড়াও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিনা রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন। এসময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর হাত থেকে ফুল নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন বিনপি’র সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ভাই সাবেক জেনারেল শরিফ আহম্মেদ।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা