স্টাফ রিপোটার, ভোলাঃ
লালমোহনে স্বামীর কর্তৃক স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। লালমোহন পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ডের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা মৃত,নুরু মাঝির ছেলে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে।
জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ৫ সন্তানের জননী মোসাঃ মিনারা বেগম অভিযোগ করে জানান, ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক সামাজিক ভাবে গত ৩০ বছর আগে তাদের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে জাহাঙ্গীর বিভিন্ন মেয়েদের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। বিভিন্ন জায়গায় নারীদের সাথে একাধিক বার ধরা খেয়ে বিচার ফয়সালাও হয়েছে।
এমনকি বিভিন্ন সময় জরিমানা ও দিয়েছে।
তিনি আরো অভিযোগ করে জানান, আমাদের এখন বৃদ্ধা বয়স আমার ছেলে মোঃ আরিফ বিয়ে করেন জনতা বাজার এলাকায় ফরিদের মেয়ে সে পুত্রবধুর ঘরে সৎমা রয়েছে। গত কিছুদিন যাবৎ আমার স্বামী সে বিয়াইনের সাথে পরকিয়া করে আসছে।
এর মধ্যে স্বামী জাহাঙ্গীর ঘর বাড়িতে আসেনা সন্দেহের বসে আমি আমার প্রতিবেশী কয়েকজন মহিলাকে নিয়ে আমার বিয়াই বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার স্বামী বিয়াই বাড়িতে থাকেন। এ ব্যপারে আমার বিয়াই ফরিদকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এরা আমার কোন কথা শোনেনা আমি বৃদ্ধ মানুষ এখন আমার মরণ ছাঠা কোন উপায় নাই। পরে আমার স্বামী সেখান থেকে চলে আসে।
এরপর ২ দিন পর সংবাদ পাই আমার স্বামী ও বিয়াইন লালমোহন মধুছন্দা রোডে এক দোকানের পেছনে একটি রুমে থাকতেছে। আমি সেখানে গিয়ে তাদের হাতেনাতে ধরি। বিয়াইন জনতা বাজারের দক্ষিণ পাশ্বের হাওলাদর বাড়ির নসুর মেয়ে।
জাহাঙ্গীর ব্যাপক হারে গাঁজা সেবন করে স্ত্রী মিনারা বাঁধা দিলে তাকে মারপিট করে বলে জানান তিনি।
মিনারা বলেন, আমার পিতা মোস্তফা মিয়া কিছুদিন আগে মারা যায়। এখন আমি এতিম নিরুপায় এ সমাজের কাছে এহেন নেক্কার জনক কাজের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।