1. admin@upokulbarta.news : admin :
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
এমপি মুকুলের সাথে ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময় সাংসদ মুকুলের সাথে ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাব‘র নব নির্বাচিত কমিটির শুভেচ্ছা বিনিময় তালতলীতে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের শিক্ষাবৃত্তি রাজশাহী কারাগারে হাজতির মৃত্যু শুঁটকির নমুনা ল্যাব পরীক্ষার মাধ্যমে ২০জন উদ্যোক্তাদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করল কোস্ট ফাউন্ডেশন ফকিরহাট নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত তৃণমূলে জনঅংশগ্রহণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা বৃদ্ধি করে : স্বপন দাশ দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই, আকাশে চাঁদ উঠলে সবাই দেখবেন-এমপি শাওন দ্বিতীয় বার ভোলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন তজুমদ্দিন থানার মাকসুদুর রহমান মুরাদ বাগমারায় তৃণমূল আ.লীগের এক সময়ে ১৮ টি ইউপি ও ২টি পৌরসভায় সরকারের উন্নয়ন শোভাযাত্রা

ভোলায় কোস্ট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত

COAST Foundation, Bhola
  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৪৭ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ভোলায় কোস্ট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অদ্য ১৫ অক্টোবর ২০২২ সকাল ১০ ঘটিকার সময় ভোলা প্রেস ক্লাবের সামনে  কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী সমন্বয়কারী সোহেল মাহমুদের সঞ্চালনায় ভোলা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আমিতাপ আপুর সভাপত্বিতে  শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী রাশিদা বেগম, সহ ভোলার নারী নেত্রী জিনাত রেহেনা , ভোলা সদর ভেদুরিয়া  ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যা জোস্না বেগম, কোস্ট ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী প্রশাসন ও হিসাব মো: ইব্রাহিম, কোস্ট ফাউন্ডেশনের ভোলা সদর শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মো শাহিন , সদর -০২ শাখা ব্যবস্থাপক মো: মেহেদী হাসান ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের ভোলা সদর-০১ /২ শাখার কর্মীগন , জন সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ সহ শিক্ষক, পেশাজীবি সহ শতাধিক নারী    অংশগ্রহনের মধ্যে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস, ২০২২  পালিত হয় ।

১৫ অক্টোবর, আজ বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস আজ। চন্দ্রবিজয়, মহাকাশযাত্রার পর মানুষের চোখ এখন মঙ্গলে। দেশেও শোনা যাচ্ছে কত প্রযুক্তি, কত উন্নতির কোলাহল। তবে জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের অধিকার পিষে রেখে মানব সভ্যতার মাননির্ধারণে আমাদের কতটুকু আগানো হলো? নারী নির্যাতনে দেশ চতুর্থ, কর্মক্ষেত্রে নারী- পুরুষ বৈষম্যে দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয়, প্রতিদিন গড়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে চার জনেরও বেশি নারী। আর স্পষ্টরুপে বিরাজ করছে হাজারো পদে নারী অবমূল্যায়নের পুরনো অন্যায্যতা। নগরকেন্দ্রিকতায় মোড়ানো বেশিরভাগ সংগঠন নারী অধিকার আদায়ে সোচ্চার হলেও গ্রামীণ নারীদের ভাগ্য বদলাচ্ছে ঠিক কতটুকু?

এমনই বাস্তবতায় ১৫ অক্টোবর পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস, ২০২২। বিশ্বের অনেক দেশেই একযোগে পালন করছে দিবসটি। ১৯৯৫ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ৪র্থ নারী সম্মেলনে ১৫ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালনের প্রস্তুাব গৃহীত হয়। ১৯৯৭ সাল থেকে জেনেভা ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা  Women’s World Summit Foundation দিবসটি পালনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি পালন করে।

এরপর ১৫ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রামীণ নারী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয় ২০০৭ সালে। গ্রামীণ উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্রতা দূরীকরণসহ নানা ক্ষেত্রে গ্রামীণ নারীদের ভূমিকার স্বীকৃতি স্বরুপ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে বিশ্বজুড়ে। তবে যাদের জন্য এই দিবস তাদের সম্পৃক্ততা কতটুকু এই দিবসের সঙ্গে? বিভিন্ন সভা সংগঠন এ দিবসকে সামনে রেখে নানাবিধ কর্মসূচী রাখলেও যাদের জন্য বিশেষায়িত এই দিবস তাদের বেশির ভাগই এদিনটি সম্পর্কে না কোনো ধারণা রাখতে পারে, না ধারণা রাখতে পারে তাদের অধিকার সম্পর্কে।

মেয়ে হয়ে জন্ম নেয়ার ভাগ্যকে শাপশাপান্ত করে ক্ষান্ত হয়েই গ্রামীণ নারীরা স্বামী- সন্তানের সব চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। শুধু পরিবার নয়, বয়ে নিয়ে চলছেন এ সমাজ ও দেশকে। তবে নিজের বেলায় জুটছে চরম অবমূল্যায়ন। বিভিন্ন কুটিরশিল্প, ছোটখাট ব্যবসা বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত হওয়ায় আগের তুলনায় কিছুটা কমে এলেও কৃষি খাতে নারীর অংশগ্রহণ এখনো তুলনামূলক বেশি। ফসল উৎপাদন থেকে শুরু করে বীজ সংরক্ষণ, শস্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিপণন পর্যন্ত প্রতি ধাপে রয়েছে নারীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ। বাংলাদেশ যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে এতে আমাদের গ্রামীণ নারীদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা।

নারীরা শুধু শস্য উৎপাদন নয়, মাছ চাষ, পশুপালন এমনকি বাজারজাতের কাজেও সমানভাবে যুক্ত। তবে কৃষিতে নারীর এমন অংশগ্রহণের নাম দেওয়া হচ্ছে ‘পারিবারিক সাহায্য’। কৃষক হিসেবে না পরিবার থেকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, না সরকারিভাবে স্বীকৃতি মিলছে। কৃষি থেকে আসা আয়েও নারীদের ভাগ শুন্য। তাছাড়া ভূমিতে নেই সমঅধিকার, নেই কৃষিঋণে। দৈনিক ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা গৃহস্থালী কাজ হোক বা কৃষি-পারিবারিক শ্রম হিসেবে গণ্য করে নারীদের এসব কাজ করতে হচ্ছে অবৈতনিক। অথচ এসব কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া হলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর মতামত প্রতিষ্ঠার সুযোগ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বৈষম্য ও নির্যাতনের হার কমে আসার সম্ভাবনা অসীম।

আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পেরোলে গ্রামীণ নারীরা পাবেন তাদের যথাযথ মর্যাদা ও সমঅধিকার, সে প্রশ্নের উত্তর আজও অজানা।

৫জন গ্রামীন নারীদের সম্মননা প্রদান করা হয়, তারা হলেন, দাবি আদায়কারী  জোসনা বেগম, শিক্ষায় জিনাত রেহেনা ,বীজ সংরক্ষনকারী হাসিনা বেগম,ক্ষুদ্র ব্যবসায় সারমিন ও  অন্যায়ের প্রতিবাদকারী  রিটু রানী ।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা