পটুয়াখালীঃ
পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. হাফিজুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডিসির কাছে আবেদন করেছে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসারের মোঃ কামাল হোসেনের কাছে হাফিজুর রহমান লিখিত অভিযোগ করেন।
এসময় একটি চিঠিতে অভিযোগের পাশপাশি আরেকটি আবেদনে প্রার্থী তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশী সহযোগীতারও আবেদন করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাফিজুরর রহমান নির্বাচনী আচরনবিধি মেনে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আনারস প্রতীকের (আওয়ামীলীগ সমর্থিত) খলিলুর রহমান মোহন এবং তার সন্ত্রাসীরা হাফিজুর রহমানকে হত্যা সহ তার নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের হুমকি দিয়ে আসছে।
সর্বশেষ গত ৬ অক্টোবর বাউফল পৌরসভা মাঠে আনারশ মার্কার নির্বাচনী সভায়, আনারশ মার্কার প্রার্থী নিজে বক্তব্য প্রদান কালে এড. হাফিজুর রহমানকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেন এবং নির্বাচনের পরে কিভাবে এলাকায় থাকে সে বিষয়ে দেখে নেওয়ারও হুমকি প্রদান করেন। এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি ভিডিও ক্লিপ অভিযোগ পত্রের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে আগামী ১৭ অক্টোবর সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জীবনের নিরাপত্তার জন্য ১১ অক্টোবর সকাল ৭ টা থেকে ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত পুলিশী সহায়তার চেয়ে আবেদন করা হয়।
এ বিষয়ে এড. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের শুরুর দিকে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো থাকলেও দিন যত এগিয়ে আসছে ততই নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করা হচ্ছে। আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী নিজে এবং তার কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন এলাকায় আমার পোস্টার, ফেস্টুন ছিড়ে ফেলছে। এ ছাড়া নির্বাচনী আচরনবিধি ভঙ্গ করে পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুবিবুর রহমান মুহিব নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিচ্ছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও নির্বাচন কমিশন কিংবা রিটানিং অফিসারের কার্যালয় থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। এখন আমাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য তারা পরিকল্পনা করছে। আমি এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসারের কাছে দুটি লিখিত আবেদন করেছি।
তবে, অভিযোগের বিষয়ে আনারশ মার্কার প্রার্থী খলিলুর রহমান মোহন বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছ। তবে আশা করি নির্বাচন কমিশন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসার মোহম্মদ কামাল হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, নির্বাচনী আচরন বিধি ভঙ্গ করলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭ জন এবং সাধারণ আসনে মোট ২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এ নির্বাচনে মোট ১০৮৩ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলার ৮ উপজেলার ৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।