পারভীন আক্তার, লালমোহনঃ
ভোলার লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নে সমুদ্রগামী জেলেদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার চাল না পেয়ে ফেরত গেল প্রায় ১১শ” জেলে পরিবার। বুধবার সকালে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে চাল নিতে আসেন সমুদ্রগামী জেলেরা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে চাল বিতরণ স্থগিত রাখা হয়।
খবর পেয়ে লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব কুমার হাজরা ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে সঠিকভাবে তালিকা প্রনয়ণ করে পরবর্তীতে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করার সিদ্ধান্ত হয়। এদিকে ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ বলছেন, পরিষদের কয়েকজন সদস্য জেলেদের নামের চাল আত্মসাৎ করে আবার তাদেরকে চাল নিতে পরিষদে পাঠিয়েছে। যে কারণে এ জটিলতার সৃৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে পরিষদের কয়েকজন সদস্য বলছেন, চেয়ারম্যান প্রতি ওয়ার্ডে সদস্যদেরকে ৪৫টি করে কার্ড দেয়া হয়। একটি ওয়ার্ডে জেলে রয়েছে ২/৩শ” বাকী কার্ড চেয়ারম্যান নিয়ে যায়। এ ইউনিয়নে সমুদ্রগামী ১১শ” জেলে পরিবার রয়েছে।
জেলেরা বলছেন, এখানে প্রকৃত জেলেদের নামের তালিকা না করে অনেক ব্যবসায়ীদের নামে জেলে কার্ড করা হয়েছে। বিভিন্নভাবে এক জেলের নামের কার্ড অন্য জেলের কাছে বিক্রির অভিযোগও উঠেছে। সোহাগ মাঝি নামে এক জেলে জানান, তার নামে কোন কার্ড করা হয়নি। খোরশোদ আলম মাঝির নামের কার্ডটি তিনি ২নং ওয়ার্ড চৌকিদার বাবুলের কাছ থেকে ৮শ” টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছেন। চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সমন্বয়হীনতার কারণে চাল না পেয়ে ফেরত যাওয়া জেলেদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।