বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পেশাদার সংবাদকর্মীদের জ্ঞান চর্চার অন্যতম একটি জায়গা হল প্রেসক্লাব। এক যুগের ও বেশী সময় ধরে উন্নয়নকর্মী হিসেবে কাজ করে চলছি। আমার চাকরি জীবনের কাজের বড় একটি অংশ সংবাদকর্মীদের সাথে। আমি সব সময় পেশাদার সংবাদকর্মীদের প্রতি আন্তরিক।
অবশ্যই এই আন্তরিকতা এবং সংবাদকর্মীদের সাথে কাজ করার সুযোগটি তৈরী করে দিয়েছেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জনাব,রেজাউল করিম চৌধুরী।
টেকনাফ প্রেসক্লাবের ভবনটি ছিল জরাজীর্ণ এবং ব্যবহার অনুপযোগী। বিষয়টি সব সময় আমাকে ব্যক্তিগতভাবে নাড়া দিত, কারন আমি টেকনাফের সন্তান। ২০১৭ সাল হতে টেকনাফের প্রেসক্লাবের ভবনটি নির্মানের জন্য বিভিন্ন ফোরামে দাবী জানিয়ে আসছিলাম।
উখিয়া প্রেসক্লাবের ভবনের উদ্বোধনী সভায় একান্তভাবে কথা বলেছিলাম তৎকালীন ইউএনএইচসিআর এর কক্সবাজার প্রধান মারিন ডিনের সাথে। বলেছিলাম ‘‘উখিয়া প্রেসক্লাব হয়েছে আমরা উখিয়াবাসী খুশি কিন্ত তোমার কাছে আর একটি দাবী টেকনাফ প্রেসক্লাবের ভবন,আমার পিঠে হাত রেখে বলেছিলেন আমরা করে দিব তুমি মি. সুব্রত এর সাথে কথা চালিয়ে যাও’’।
পরের দিন কক্সবাজারের সংবাদকর্মী আমার বন্ধু ইমাম খাইর,খবর বিতানের মালিক মো: হাসিম ভাই, জাবেদ ইকবাল ভাই,মামা ছৈয়দ হোসাইনসহ টেকনাফ নাফ পেপার বিতানে প্রথম সভাটি অনুষ্টিত হয়।
সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এক সপ্তাহের মধ্যে তৎকালীন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সুপারিশ সংগ্রহ করে ইউএনএইচসিআর এর কর্মকর্তা সুব্রত চক্রবর্তীর হাতে আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছিল।
আবেদন জমা দেওয়ার দেড় মাসের মধ্যে ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়। স্থানীয় কিছু সমাস্যার কারনে ভবন নির্মানে বিলম্ব হলে ও অবশেষে ভবনটি পূর্ণতা পেয়েছে।
প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিক বন্ধুদের একত্রিত করে এমন একটি কাজ করা অনেক জটিল হলে ও অবশেষে সফল। প্রেসক্লাবটি এখন সরগরম। সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই ঐক্যবদ্ধ এইটাই সফলতা।
বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সুব্রত দা, কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী এবং এনজিও ফোরামের প্রতি।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা এবং পরামর্শ দিয়েছেন। সুন্দর এবং নান্দনিক ভবনে বস্তুনিষ্ট সংবাদে এগিয়ে যাক টেকনাফ প্রেসক্লাব।
মোঃজাহাঙ্গীর আলম
সহকারী পরিচালক
কোস্ট ফাউন্ডেশন