1. admin@upokulbarta.news : admin :
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১২:৪৭ অপরাহ্ন

অধ:পতনের কি কিছু বাকি আছে আর?

মুজিবুল হক মনির
  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২
  • ৯৬ বার পঠিত
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বিশ্ববিদ্যালয় হলো দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ, আর সেই বিদ্যালয়ের প্রধান কর্তাব্যক্তি তথা উপ-চার্যের পদটা হওয়ার কথা পরম সম্মানের। কিন্তু আমাদের উপাচার্যদের অবস্থাটা কী? এই যে, আজকের পত্রিকাতেই পড়ছিলাম- খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাঁর নিজের ছেলে, মেয়ে, ভাতিজা, শ্যালক-শ্যালক, তাঁদের ছেলেমেয়ে, নিজের স্ত্রীকেও চাকরি দিয়েছেন। নিয়ম-কানুন না মেনেই। একটু চক্ষুলজ্জাও নেই?!!
এই ছবিটা দেখা দেখা যাক। দেওয়ালের ছবিটাতে লেখা-নামাযকে বলো না আমার কাজ আছে, কাজকে বলো আমার নামায আছে। আহা! মনে হচ্ছে আল্লাহর কয়েকজর ওলি এই হাসপাতালটা চালায়। অথচ নানা অনিয়মের অভিযোগে এই ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে! ধর্মের এই বানী আসলে মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার একটা কৌশল!
আড়ৎগুলোতে অতিরিক্ত দামে বিক্রি, কৃত্রিম সংকট তৈরির জন্য মজুদ রাখার অভিযোগে যেসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযান হচ্ছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- তাদের সবারই লেবাস পরহেজগারের, পরনে টুপি, আছে দাড়ি, অনেকের চুল-দাড়িতে মেহেদি দেওয়া! নামায পড়তে পড়তে অনেকের কপালে দাগ! ইসলামের সংজ্ঞা অনুযায়ী এরা মুসলমান হলে এদের কাছে মানুষ নিরাপদ বোধ করার কথা, অথচ এরাই মানুষকে কষ্টে ফেলছে!
হজ্ব-উমরাহ যারা পালন করতে যান, তাঁদেরকে বলা হয় আল্লাহর মেহমান। অথচ এই আল্লাহর কত মেহমানের কান্না বিমানবন্দরের আশপাশে ভেসে বেড়াচ্ছে! কিছুদিন আগে দেখলাম সৌদি আরব যাওয়ার বিমানের প্রায় ২২০০ টিকেট অগ্রিম বুকিং করে রেখেছে কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সি, উচু দামে উমরাহ করতে ইচ্ছুকদের কাছে বিক্রি করবে বলে! ভাবা যায়? আল্লাহর মেহমানদের নিয়ে এইরকম ব্যবসা? তাও সেটা করছে কিছু মুসলমান? ইসলাম কি আমাদের এই শিক্ষা দেয়? মোটেই না।
পহেলা বৈশাখ নিয়ে আমাদের তৌহিদি জনতার ব্যাপক চুলকানি, অথচ এসব বিষয়ে কোনও শব্দ নেই! ইসলামের লেবাসটা পড়ে, এভাবে ইসলামকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে মুনাফা লুটে নেওয়া, মানুষকে কষ্ট দেওয়ার চেয়ে বড় অপরাধ আর কী হতে পারে? এদের দেখে অন্য ধর্মের মানুষ কী ধারণা পাবে ইসলাম বিষয়ে? অথচ আমরা আছি মেয়েদের জামার সাইজ ছোট হবে না বড় হবে সেই নিয়ে মহা টেনশনে।
অথচ একটা মেয়ে যদি সারাজীবন অশ্লীল পোশাকও পরে, জীবনের কোনও পর্যায়ে আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইলে, মহান আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করেও দিতে পারেন। কিন্তু বান্দার হক মেরে খেলে তো সেই পাপ খোদ আল্লাহও মাফ করতে পারেন না, যতক্ষণ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিটা মাফ না করেন। তাহলে বড় পাপ কোনটা?
ধর্ম, নৈতিকতা, সামাজিক মুলবোধ কি তবে খুব দূরেই চলে গেলে আমাদের? কেয়মতই তো মনে হয় খুব নিকটে।
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা