1. admin@upokulbarta.news : admin :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফকিরহাটের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে স্বপন দাশের প্রচার শুরু চরফ্যাশনে ভিকটিমকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এর বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ মানতে গড়িমসি করছেন খুলনা বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক রবিউল আলম বাইউস্টে নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত Sustainability with Profitability is Possible-Rezaul Karim Chowdhury ২০২৪-২৫ বাজেটে সব ধরনের তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন মোহনপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন লালমোহনে ৪৮০ টাকা পাওয়ানাকে কেন্দ্র করে মারপিট আহত ৬ শেখ হেলাল উদ্দীন সরকারি কলেজে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন ফকিরহাটে প্রান্তিক খামারিদের প্রদর্শনী দেখে অভিভূত সবাই

মায়ের নির্যাতনে কানের দুল বিক্রি করে ঢাকায় চলে গেলেন তাঁরা; ৯৯৯ কলে উদ্ধার

সহকারী সম্পাদকঃ
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০২২
  • ২০৫ বার পঠিত

আশিকুর রহমান শান্তঃ

ভোলায় প্রাইমারি স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়া দুই ছাত্রীকে ৩ দিন পর রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মায়ের অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তাঁরা ঢাকায় পালিয়ে গিয়েছেন বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদার।

রোববার(২৮ আগষ্ট) দুপুরে তাদেরকে ঢাকা থেকে ভোলায় নিয়ে আসা হয়। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল ) মো. ফরহাদ সরদার তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) ওই দুই শিক্ষার্থী স্কুলে না গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর বাড়ি না ফেরায় ৫ম শ্রেনির ছাত্রী তহমিনা বেগমের পিতা ইজিবাইক চালক মো. কামাল হোসেন ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সুরভী বেগমের মা রাবেয়া বেগম ভোলা সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরই সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন বিভিন্ন জায়গায় নিখোঁজ ছাত্রীদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। এরা শিবপুর কালিকীর্তি নতুন সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রী।

ফরহাদ সরদার জানান, তহমিনার মা তহমিনাকে অমানবিক নির্যাতন করতেন। যাঁর ফলে তাঁরা দুই বান্ধবী একত্র হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশে বের হয়ে স্কুলে না গিয়ে ঢাকায় চলে যায়। এক অটোরিকশা চালক তহমিনার সাড়ে ৪ হাজার টাকার কানের দুল নিয়ে তাদেরকে ১২০ টাকা দেয়। একই সঙ্গে ইলিশা ঘাটে নিয়ে তাদেরকে দুপুরের ঢাকাগামী লঞ্চে তুলে দেয়। রাত ৮টায় সদরঘাটে নেমে এরা দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর সেখান থেকে তাঁরা বাসযোগে মিরপুর যায়।

এ সময় সুজন নামে এক বাস চালক মিরপুরের রাস্তা থেকে তাদেরকে তাঁর বাড়ি নিয়ে যায়। চালক তাদের কাছ থেকে তাদের পরিচয় জানতে চায়। তাঁরা তাদের পরিচয় দিতে গড়িমসি করলে ওই চালক ৯৯৯-এ কল দেয়। পরে মিরপুর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাদেরকে ওই বাস চালকের বাসা থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর মিরপুর থানা পুলিশ ভোলা সদর মডেল থানায় যোগাযোগ করলে রোববার জিডির তদন্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন তাদেরকে ভোলায় নিয়ে আসেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিশু দুটিকে তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করেন।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা