স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি জুয়েল জমাদারের উপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বাবুর বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত ২৫ শে আগস্ট (বৃহস্পতিবার) জুয়েল জমাদার তার বাসা থেকে বের হয়ে মিয়ার হাটবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। মিয়ার হাট বাজারে ঢোকার সাথে সাথে হঠাৎ করেই রেজাউল করিম বাবু মেম্বার কিছু লোকজন নিয়ে এসে জুয়েল জমাদারের পথ রোধ করে দাঁড়ান এবং তার সাথে কথা আছে বলে তাকে একটি চায়ের দোকানে নিয়ে যান। সেখানেই তার উপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয় বলে জানা যায় ।

আহত যুবদল নেতা জুয়েল জমাদার জানান, তিনি বাসা থেকে বের হয়ে মিয়ার হাট বাজারে আসার সাথে সাথেই রেজাউল করিম বাবু মেম্বার কিছু লোকজন নিয়ে এসে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি চায়ের দোকানে নিয়ে যান। চায়ের দোকানে নিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং সে কেন বিএনপি করে বিএনপির রাজনীতির সাথে কেন সম্পৃক্ত একথা বলে তাকে চড় থাপ্পর মারতে থাকে। রেজাউল আর বলেন, বাবু মেম্বার আমাকে বলতেছে আমি বিএনপি করতে পারবো না এই কথাটি বলেই আমাকে জিআই ফাইভ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করে। মাইরের এক পর্যায়ে আমি সেখানে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে যাই। পরে স্থানীয়রা আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে এবং আমার পরিবারের কে খবর দেয়।

এ বিষয়ে আহত জুয়েল জমাদারের স্ত্রী বলেন বাবু মেম্বার একজন সন্ত্রাস প্রকৃতির লোক সে কোন কারণ ছাড়াই আমার স্বামীর উপর আক্রমণ করেছে। আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি মেরে গুরুতর জখম করেছে আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে ভোলা জেলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন জানান, সারা দেশে যখন আন্দোলনের দামামা বাজছে। সাধারণ মানুষ যখন অন্যায়, অবিচার, গুম, খুন ও দ্রব্যমূল্যের উদ্যগতির প্রতিবাদে জেগে উঠেছে ঠিক তখনই আওয়ামী লীগের কিছু সন্ত্রাসীরা বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালাচ্ছে। আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

আহত জুয়েল জমাদার জানান এই বিষয়ে দৌলতখান থানায় একটি অভিযোগ প্রক্রিয়াদিন।