বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারে কাঁকড়া পোনার একটি বড় অংশ আসে শহরের কলাতলীতে গড়ে ওঠা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশনের কাঁকড়া হ্যাচারি থেকে। এ হ্যাচারির উদ্যোক্তা কাঁকড়াবিশেষজ্ঞ অংছিন। কাঁকড়া পোনা উৎপাদনে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পোনা প্রজননের জন্য হ্যাচারিতে পৃথক আটটি হাউস (পানি রাখার ঘর) রয়েছে। এর মধ্যে তিনটিতে পোনা উৎপাদন চলছে। প্রতিটিতে পোনা আছে ২০-৩০ হাজার। এ পোনা বিক্রির উপযোগী করতে সময় লাগবে আরও ৩০ দিন।
হ্যাচারির মেঝেতে সারিবদ্ধভাবে রাখা আছে ১৫টি লাল প্লাস্টিক বালতি। বালতিগুলোতে রাখা একটি করে মা কাঁকড়া। মহেশখালীর প্যারাবন থেকে মা কাঁকড়াগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। হ্যাচারি প্রকল্পের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু নাঈম বলেন, প্রতিটি মা কাঁকড়া থেকে ডিম পাওয়া যায় ৫ লাখ থেকে ১৫ লাখ। কিন্তু বিক্রির জন্য পোনা পাওয়া যায় মাত্র ৪০-৫০ হাজার। ৬টি ধাপ অতিক্রম করতে অধিকাংশ পোনা মারা যায়। এ জন্য কাঁকড়া পোনার উৎপাদন খরচ বেশি।
কাঁকড়া চাষের উপযুক্ত মৌসুম বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর—এই আট মাস। করোনা মহামারির শুরুতে চালু হওয়া কাঁকড়া হ্যাচারিটি দ্বিতীয় দফায় চালু হয় গত ১ জুন। ওই মাসে হ্যাচারিতে পোনা বিক্রি হয় ৩৫ হাজার। চলতি জুলাই মাসের ২৫ দিনে বিক্রি হয়েছে আরও ১৫ হাজার পোনা।
আবু নাঈম বলেন, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হ্যাচারিতে অন্তত চার লাখ পোনা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। জেলার চাহিদা পূরণ করে কাঁকড়া পোনা খুলনা, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও সরবরাহ করা হচ্ছে।