দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধিঃ
দৌলতখান উপজেলা চরখলিফা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আজিমুদ্দীন পাটোয়ারী বাড়ির অগ্রণী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র কর্মকর্তা আবুল বাছেতের ১২ শতাংশ জমি প্রতারণার মাধ্যমে একই বাড়ির মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে শাহজাহান নান্টু জোরপূর্বক দখল করে নেয়।
ওই জমি নিয়ে দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের হলে আবুল বাছেতের পক্ষে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে আদালত। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভূমিদস্যু শাহাজাহান নান্টু ওই জমি জবর দখলে রাখে। ভূমিদস্যু শাহাজাহান নান্টুর প্রতারণার বিষয়ে আড়াই মাস পূর্বে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হলে, নান্টু ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকৃত ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ভোলা প্রেসক্লাবে গত ১৮/০৭/২০২২ইং তারিখে ভুক্তভোগী আবুল বাছেতের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন।
প্রতারক শাহাজাহান নান্টু কর্তৃক জবরদখলীয় জমি ফেরত পেতে এবং সংবাদ সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আবুল বাছেত ১৯/০৭/২০২২ইং তারিখ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দৌলতখান রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলেন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী আবুল বাছেত প্রতারক শাহাজাহান নান্টুর নানা প্রতারণা ও অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শাহাজাহান নান্টু ভয়ঙ্কর প্রতারক। সে ইতিমধ্যেই কবির পিতা: মৃত নাসির উদ্দিন এর ৫ শতাংশ জমি গত ১৬/০৩/২০২২ ইং তারিখে প্রতারণার মাধ্যমে একটি ভূয়া ও বানোয়াট দলীল করে তিন লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করেন।
ওই জমির খতিয়ান নং ১৩৪,১৩৫। ১৫৬ খতিয়ানের মূল দাগ নম্বর ব্যবহার না করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অন্য খতিয়ানের দাগ নাম্বার ব্যবহার করেছে। যার সঠিক দাগ নম্বরগুলো হলো ৯৯৭,১০৩১- ১০৪৮ ও ১০৫২। উক্ত খতিয়ানে শুধু দাগ নম্বর নয়। সে তার নামের ক্ষেত্রেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। যেখানে ১৩৪,১৩৫ খতিয়ানে জয়নাল আবেদীন পিতা: জরাফ আলী উল্লেখ করে একটি ভূয়া দলীল সম্পাদন করেছে। অথচ মূল দলীলে উল্লেখিত প্রকৃত নাম: শাহাজাহান নান্টু,পিতা: জয়নাল আবেদীন, দাদা: মৃত হায়দার আলী পাটোয়ারী।শুধু তাই নয়, তার বড় ভাই নাজিরুল হুদার জন্ম তারিখ ০১/০৭/১৯৫৬ হলেও ছোট ভাই শাহাজাহান নান্টুর জন্ম তারিখ ০১/০১/১৯৫০ইং উল্লেখ করে আইডি কার্ড তৈরি করে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।