গোপাল হালদার,পটুয়াখালীঃ
কুয়াকাটায় বাস শ্রমিকদের হামলায় ৩ পর্যটক আহত হন। এসময় স্বর্ণালংকার কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি ভিডিও করার অপরাধে পর্যটকের মোবাইলও ভেঙ্গে ফেলে তারা।
জানা যায়, নরসিংদীর বাবুর হাট থেকে আসা রুবেল নামের এক ব্যবসায়ী তার পরিবারের আট সদস্যকে নিয়ে বরিশাল থেকে বাসে কুয়াকাটায় আসেন। পথিমধ্যে বাসের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাসের কর্মীরা রুবেলের পাশাপাশি তার পরিবারের নারী সদস্যদের ওপর হামলা করেন। হামলার শিকার রুবেল জানান, তারা পরিবার নিয়ে ৮ জন বরিশাল থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে ‘ছন্দা’ নামের (পটুয়াখালী-ব-৩১-০০৪৫) বাসে বেলা ১১টার দিকে ওঠেন।
পথিমধ্যে রুবেলের সঙ্গে থাকা তার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়লে তার নির্ধারিত সিটে ওই শিশুকে শুইয়ে রেখে নিজে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় বাসের কন্ডাক্টর এসে দাঁড়িয়ে থাকলে একজনের বাড়তি ভাড়া গুণতে হবে বলে ঝগড়া শুরু করেন। এ ঘটনার কিছু অংশ ভিডিও করেন রুবেল এবং পাশের সিটে বসা পর্যটক লক্ষ্মীপুর থেকে কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা ওই বাসের যাত্রী রিপন মাহমুদ। কন্ডাক্টর মোবাইল ফোনে ভিডিও করায় হুমকি দিয়ে চুপ থাকেন। বিকেলে বাসটি কুয়াকাটায় এসে থামতেই বাস শ্রমিকরা সংঘবদ্ধভাবে পর্যটক পরিবারটির ওপর হামলে পড়ে।
ভিডিও করার অপরাধে মারধর করা হয় পর্যটক রিপন মাহমুদকেও। রুবেল আরো জানান, তাকে মারধর করে স্বর্ণের চেন ছিড়ে নিয়ে গেছে শ্রমিকরা। মোবাইল ভেঙে ফেলা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মহিপুর থানার এসআই মোজাম্মেল গিয়ে বাসের চালক মো. কামাল ও সুপারভাইজার জামালসহ ওই পর্যটকদের থানায় ডেকে নেয়। বাসচালক কামাল হামলার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ‘একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে।’ মহিপুর থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পর্যটক পরিবারটি লিখিত অভিযোগ দিতে অস্বীকার করায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি, তবে আলোচনা করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।