চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাসনে বিয়ের দাবীতে দু’দিন ধরে ১৮ বছর বয়সী প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননী প্রেমিকার অনশনের খবর পাওয়া গেছে। বুধবার ঢাকা থেকে চরফ্যাসন উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নে প্রেমিক আলামিনের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন ওই নারী।
প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে বসত ঘর তালাবদ্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছে প্রেমিক আলামিনসহ তার পরিবারের সদস্যরা। প্রেমিক আলামিন চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাট থানার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের রুহুল আমিনের ছেলে। প্রেমিকা নারী বাগেরহাট জেলার মংলা বন্দর থানার কেওড়া তলা গ্রামের বাসিন্ধা বলে জানাগেছে।
ভুক্তভোগী নারী জানান,দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আলামিনের সাথে তার পরিচয় হয়। প্রথমে বন্ধুত্ব হলেও কিছুদিন পরে সম্পর্ক প্রেমে গাড়ায়। প্রেমের সুত্র ধরে প্রেমিক আলামিন তার কর্মস্থল ঢাকার কামরাঙ্গীর চর এলাকায় বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতো। এবং স্বামী-স্ত্রী মতো একই রুমে রাত্রী যাপন করতেন।
প্রেমিক আলামিন ঢাকায় তার বাসায় গিয়ে নিয়মিত শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। এমনি ভাবে কেটে যায় দুই বছর। মাঝে মধ্যে প্রেমিক আলামিনের মা রাজিয়া বেগমের সাথে তার মোবাইল ফোনে কথা হতো। আলামিনের মা রাজিয়া বেগম তাদের বিয়ে দিবেন বলে প্রতিশ্রতি দেন।
গতমাসে মোবাইল ফোনে আলামিনের সাথে ঝগড়া বাধলে তাদের সম্পর্কের কিছুটা অবনিত হয়। ঝগড়ার জেরধরে প্রেমিক আলামিন তাদের রোমান্টিক মুহুর্তের কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
এসব নিয়ে তাদের প্রেম জীবনের কলহ শুরু হয়। এর মধ্যেও তাদের দুজনের নিয়মিত যোগাযোগ হতো। গত কয়েকদিন আগে প্রেমিক আলামিন তাকে ফেসবুক থেকে ব্লক করেন এবং ফোন নম্বর ব্লাক লিষ্টে রেখে দেন। প্রেমিকের কোন খোঁজ না পেয়ে তিনি বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিক আলামিনের বাড়িতে অবস্থান নিলে গ্রামবাসীরা তাকে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিমের বাড়িতে তার জিম্মায় রাখেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম জানান,ওই নারী বিয়ের দাবী নিয়ে যুবক আলামিনের বাড়িতে অবস্থান নিলে আলামিনের পরিবারের সদস্যরা ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান।পরে গ্রামবাসী নারীর নিরাপত্তার জন্য তার জিম্মায় দেন। দুদিন ওই নারী তার হেফাজতে আছেন। ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়টি আমার জানা নাই। দুলাহাট থানার ওসি মো. মোরাদ হোসেন জানান, ওই নারীর অবস্থান নেয়ার কোন খবর পাইনি । মেয়ে অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।