মোঃ আওলাদ হোসেনঃ
ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিনে দাদির হাতে ৭ বছরের শিশু নির্যাতন’ শিরোনামে গত২৭ জুন কয়েকটি পএিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি পড়ে নির্যাতনের শিকার তানিশার শিশুটির পড়াশোনাসহ সব দায়িত্ব নিয়েছেন বোরহানউদ্দিনের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য জীবন মাহমুদ ৷
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে তানিশার মা সোনিয়া বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৷ সোনিয়া বেগম জানান, পত্রিকায় তানিশাকে নির্যাতনের খবর দেখে জীবন মাহমুদ নামে একজন পুলিশ সদস্য মুঠোফোনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তানিশার পড়াশোনার খরচ ও দায়িত্ব নেওয়ার কথা প্রস্তাব করেন ৷ এতে তারা রাজি হন ৷
এদিকে জীবন মাহমুদ নামের ওই পুলিশ সদস্য বলেন, ‘কয়েকটি পএিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তানিশার নির্যাতনের সংবাদ আমার চোখে পড়ে৷ একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেই আমি এই মেয়েটির পড়াশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করবো৷ পরে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার মায়ের চাহিদা অনুসারে একটি মহিলা মাদরাসায় ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়।’ পুলিশ সদস্য আরও বলেন, আজ ৩০ জুন বোরহানউদ্দিনে এসে তানিশাকে একটি আবাসিক মাদরাসায় ভর্তি করেছি । তার পড়াশোনার সব দায়-দায়িত্ব আমি গ্রহণ করবো।
তিনি বর্তমানে ২০ জন এতিম ও দুস্থ শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার ব্যয় বহন করেন। এ ছাড়া, তিনজন গৃহহীনকে গৃহদানের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় মোবাইল হারানোর অজুহাতে দেউলা ইউনিয়নের চরটিটিয়া গ্রামের মাঝি বাড়িতে তার দাদির হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয় সে৷ এবং নির্যাতনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়৷ পরে শনিবার (২৫ জুন) তার মা সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তার দাদি মনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।