ভোল প্রতিনিধিঃ
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ঝুঁকি যোগাযোগ,সমাজের সম্পৃক্ততা এবং টিকা গ্রহণে উদ্ধুদ্ধকরণ করার লক্ষ্যে জেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সচেতনতা সভা করেছে কোস্ট ফাউন্ডেশনের SSF Gender Mainstreaming প্রজেক্ট,০৮ জুন হতে ১৪ জুন ভোলার ধনিয়া ও ভেদুরিয়া ইউনিয়নের জেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপজেলার ভেদুরিয়া, ধনিয়া ইউনিয়নের জেলে পরিবারের ৩০৫জন নারী সদস্য অংশগ্রহণ করে,SSF Gender Mainstreaming প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার রাশিদা বেগম প্রকল্প সর্ম্পকে অংশগ্রহণকারীদেরকে ধারণা প্রদান করেন , তিনি বলেন, টিকা দেওয়ার জন্য বহু ক্যাম্পেইন এবং সুযোগ করে দেওয়ার ফলেও সাধারণ জনগণের একটি অংশ এখনো টীকা নেয়নি।জেলেদের উদ্ধুদ্ধ করে টীকা প্রদানকারী অর্থাৎ স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সম্পৃক্ত করে দেওয়াই হচ্ছে এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। আর জেলে পরিবারে নারী সদস্যদের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানে সহায়তা করা, প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তাদের সরকারী সুযোগ সুবিধা আদায়ে সচেতন করা ।
SSF Gender Mainstreaming প্রজেক্টের প্রজেক্ট অফিসার, সোহেল মাহমুদ বলেন,পাশাপাশি গর্ভকালীন মায়েদের স্বাস্থ্য সেবা এবং শিশুদের স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য মহামারীর আক্রান্ত হতে মুক্তি পেতে জনগণকে সচেতন করা হবে। তিনি আরও বলেন, ভোলা সদর( ধনিয়া, ভেদুরিয়া) ,কক্সবাজার সদর( কুরুশকুল, পোকখালী)বাগেরগাট সদরে( শরন খোলা, বাগেরহাট সদর ইউনিয়ন) ইউনিয়নে উঠান বৈঠক, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ,গবাদীপশু পালনে ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন, লিফলেট বিতরণ, মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
এছাড়াও স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচার, টিভিসিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এ প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো: নুরুল ইসলাম বলেন, করোনা এখনো পুরোপুরি যায়নি।আমরা অনেকে এখন আর মাস্ক ব্যবহার করিনা এটা মোটেই ঠিক নয়।আমাদের উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।আর যারা এখনো টিকা নেইনি তারা দ্রুত টিকা নেওয়া এবং যারা প্রথম ডোজ নিয়েছে তারা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া এবং যারা দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে তারা তৃতীয় ডোজ নেওয়া।
নারী নেত্রী জিন্নাত রেহেনা বলেন,করোনার রেশ না কাটতেই মাস্কিপক্স রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এজন্য আমাদেরকে খুবই সচেতন থাকা উচিত। পাশাপাশি তিনি প্রকল্পের কার্যক্রমকে নানাভাবে সহযোগীতা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
ভেদুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, মো: তাজুল ইসলাম বলেন, আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এই সময়টি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো কোভিড-১৯ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা ছেড়ে দিয়েছে বললেই চলে। তবে কোস্ট ফাউন্ডেশন করোনা মোকাবেলায় মাঠে তাদের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু এখনো যেসব মানুষগুলো ভ্রান্ত ধারণা এবং অজ্ঞতার কারণে টিকা নেয়নি আশাকরি এই প্রকল্পের কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা টিকা নিতে উৎসাহিত হবে।