1. admin@upokulbarta.news : admin :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ফকিরহাটের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে স্বপন দাশের প্রচার শুরু চরফ্যাশনে ভিকটিমকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এর বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ মানতে গড়িমসি করছেন খুলনা বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক রবিউল আলম বাইউস্টে নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত Sustainability with Profitability is Possible-Rezaul Karim Chowdhury লালমোহনে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারপিট আহত ১ ২০২৪-২৫ বাজেটে সব ধরনের তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন মোহনপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন লালমোহনে ৪৮০ টাকা পাওয়ানাকে কেন্দ্র করে মারপিট আহত ৬ শেখ হেলাল উদ্দীন সরকারি কলেজে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন

বাহাদুরপুরে সোহাগ আজাদের আধিপত্য বিস্তারে মৃত্যুশয্যায় ভোলার দিনমজুর

উপকূল বার্তা ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২
  • ১২০ বার পঠিত

ভোলা প্রতিনিধি।

মেহেন্দীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে সোহাগ জমাদার বনাম আজাদ ভুঁইয়ার আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে ২১ জুন ২০২১ ইউপি নির্রবাচনের পরথেকেই থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ । তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার ৬ মার্চ দুগ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন পথচারী দিন মজুর সুমন ।

সুমন মেহেন্দীগঞ্জ সদরের দাদপুর এলাকার মিন্টু জমাদারের ছেলে এবং বাহাদুর পুরের বেলাল রাড়ীর জামাতা বলে জানাযায়। অনুসন্ধানে জানাযায় সুমন ভোলার কলঘাট এলাকায় দিনমজুরের কাজ করতেন, কাজের শেষে সন্ধ্যারপরে ভোলা থেকে বাহাদুরপুর তার স্ত্রীকে নেয়ার জন্য আসলে বাহাদুর পুরের ব্রীজ সংলগ্ন পরিত্যক্ত জায়গায় কে বা কাহারা তাকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়। তবে ঐ এলাকায় দুগ্রুপের আধিপত্যের হাতিয়ার হিসেবে সুমনকে সোহাগ জমাদার ও আজাদ ভুঁইয়া দুজনেই তাদের লোক বলে দাবি করেন। তবে আহত সুমনের স্ত্রী সোনিয়া জানান আমার স্বামী ভোলার কলঘাট এলাকায় দিনমজুরের কাজ করেন, আমাকে নিতে আমার বাবা বাড়ী গেলে মেম্বার আমির জমাদারের ছেলে সোহাগ জমাদার ও আজাদ ভুঁইয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের পরে আমার স্বামী যাওয়ার পথে আজাদ গ্রুপ নাকি সোহাগ গ্রুপ আমার স্বামীকে কুপিয়ে আহত করছে আমরা জানিনা, আমার স্বামীকে লোকজন উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

এখন আজাদ বলে আমার স্বামী তার লোক আবার সোহাগ বলে তার লোক আসলে আমার স্বামী কারো লোক না তবে তারা দুই গ্রুপই দায়ী বলে জানান তিনি। এদিকে আহত সুমন বর্তমানে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তবে সুমন কে দিয়ে ফায়দা নিতে আজাদ ও সোহাগ জমাদার মরিয়া হয়ে উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজাদ ও সোহাগদের আধিপত্য বিস্তারে ভোলা বরিশালের সিমানাবর্তী বাহাদুরের মানুষ আজ জিম্মি কিন্তু প্রভাবশালী দুই গ্রুপের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না কেউ। সোহাগ গ্রুপের লিডার সোহাগ জানান আজাদ আমাকে হত্যা করতে সুমন কে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া করেছে কিন্তু আমাকে কুপাতে না পেরে আজাদ তার লোকজন দিয়ে সুমন কে কুপিয়েছে। অন্যদিকে আজাদ জানান, সুমন কে আমি চিনিনা সে পথচারী, সোহাগ তাকে কুপিয়েছে, তবে সুমন পথচারী হলে আজাদ তার লোক দাবী করে কেনো এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের, নাকি সোহাগ জমাদারের কথাই সত্য? আহত সুমনের সাথে থাকা রাজাপুরের আওয়ামীলীগ নেতা ইউসুফ মাতব্বর বলেন আহত সুমন কে আমি চিকিৎসা করাতে নিয়ে এসেছি, সুমন কোন পক্ষের লোক আমি জানিনা তবে আমির মেম্বার বলে তার লোক আবার আজাদ বলে তার লোক, আসলে কার লোক সেটা জানিনা।

বরিশাল শেবাচিমে সুমনের সাথে থাকা তার শ্যালক সিয়াব বলেন সুমনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। এ বিষয়ে ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ভোলার সীমানায় ঘটনা হওয়ায় আমরা গিয়েছি তবে আজাদ ও সোহাগ দুই গ্রুপই বেপরোয়া। এ বিষয়ে মেহেন্দীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান আহত সুমন চিকিৎসারত রয়েছেন এখনো কোন মামলা হয়নি। আহত সুমন কোন পক্ষের লোক তা নিশ্চিত নন বলে জানান এই কর্মকর্তা ।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা