রফিক সাদী।।
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় বাল্য বিবাহের কারনে প্রায় দেড় হাজার কন্যা শিশু স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হারিয়েছে। করোনা কালীন সময়ে দীর্ঘ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এই এলাকায় বাল্যবিয়ের হিড়িক পড়ে।
প্রতিষ্ঠান প্রধানরা জানান, উপজেলার ৩০টি মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫ শত কন্যা শিশুর বিয়ে হয়ে গেছে। এদের অধিকাংশের বয়স ১০ থেকে ১৬ বছর। যাদের স্কুলে আসার আর সুযোগ নেই। অভিভাবকের চাপে তারা শশুড় বাড়ি যেতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে বাল্যবিয়ে নিয়ে উপজেলায় কাজ করা এনজিও গুলোর নেই তেমন তৎপরতা। কাগজে কলমে দুই একটি অনুষ্ঠান দেখিয়ে এনজিও গুলো সন্তোষ্ট রাখছেন দাতাদের।
উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে খোজ নিয়ে জানাগেছে, ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রীর অভিভাবকরা স্কুলে দেয়া তথ্য গোগন রেখে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ও ইউপি সচিবের সহযোগীতায় বয়স বাড়িয়ে জন্মনিবন্ধন সংগ্রহ করে গোপনে কাজী ডেকে বাল্য বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। এসব কর্ম সম্পাদনের জন্য উপজেলা ব্যাপী রয়েছে একদল ভুয়া কাজী। এমনকি অভিভাবকরা ধুমধাম করে আয়োজন করেন বিয়ের অনুষ্ঠান। কোন কোন অনুষ্ঠানে প্রশাসন হানা দিলেও গোপনে আগে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় দেখা যায় আইনী শিথিলতা।
সরেজমিন খোজ নিয়ে দেখাযায় বিয়ে হয়ে স্বামীর সংসার করছে বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩২ শিশু কন্যা। চাদঁপুর মহিলা আলিম মাদ্রাসার ৮০ জন, ফারজানা চৌধুরী বালিকা বিদ্যালয়ের ৪০জন, শিবপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ৭৫ জন, চাঁচড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩০ জন, পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪০জনসহ ৩০টি স্কুল -মাদ্রাসার প্রায় ১৫শত ছাত্রী।
উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রামেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, অধিকাংশ বাল্য বিয়ে অভিভাবকরা গোপন রাখে। এর সঠিক সংখ্যা জানা নেই। আমরা সংবাদ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার চেস্টা করি।