1. admin@upokulbarta.news : admin :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফকিরহাটের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে স্বপন দাশের প্রচার শুরু চরফ্যাশনে ভিকটিমকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এর বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ মানতে গড়িমসি করছেন খুলনা বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক রবিউল আলম বাইউস্টে নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত Sustainability with Profitability is Possible-Rezaul Karim Chowdhury লালমোহনে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারপিট আহত ১ ২০২৪-২৫ বাজেটে সব ধরনের তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন মোহনপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন লালমোহনে ৪৮০ টাকা পাওয়ানাকে কেন্দ্র করে মারপিট আহত ৬ শেখ হেলাল উদ্দীন সরকারি কলেজে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন

শিক্ষক ও ছাত্রদের ‘লাঠিয়াল’ বানিয়ে জমি দখল!

যুগ্ম সম্পাদকঃ
  • আপডেট সময় : সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
  • ৪২২ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজারঃ

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী এমদাদিয়া আজিজুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মৌলভী আজিজুদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘ভূমিদস্যুতার’ অভিযোগ উঠেছে। তাঁর চক্রে রয়েছেন আপন ভাই আশরফ আলী, ভগ্নিপতি নুরুল কাদের ও খালু নুরুল আমিন।

পরের জমি দখল শক্ত করতে ‘মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের ‘লাঠিয়াল’ হিসেবে ব্যবহার করছেন। মানছেন না আদালতের নিষেধাজ্ঞা। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারী) বিকালে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন মরহুম হাফেজ ছৈয়দ নূরের ছেলে হাফেজ মুদ্দাচ্ছির। তার অভিযোগ, রাতের আঁধারে প্রতিবেশী মরহুম হাফেজ ছৈয়দ নূরের মালিকানাধীন ১২ শতক জমি জবরদখল করতে গভীর রাতে আরসিসি পিলার ও নেট ব্যবহার করে ঘেরা দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। বর্তমানেও লাঠি-সোটা নিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রদের প্রস্তুত করে রেখেছেন ওই চক্র।

পরিবারের একমাত্র সম্বল ১২ শতক জমিটি উদ্ধারে সরকারের আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তা কামনা করেছেন তিনি। একই সাথে তিনি আদালতের আদেশ অমান্যকারি মৌলভী আজিজুদ্দিন, ভাই আশরফ আলী, ভগ্নিপতি নুরুল কাদের ও খালু নুরুল আমিন গংকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন হাফেজ মুদ্দাচ্ছির।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে হাফেজ মুদ্দাচ্ছির দাবি করেন, তার বাবা হাফেজ ছৈয়দ নূরের রেখে যাওয়া পোকখালী মৌজার ৫০১ নাম্বার খতিয়ানের বিএস ৫২৮৪ দাগের ১২ শতক জমির উপর লোলুপদৃষ্টি পড়ে ওই ‘ভূমিদস্যূ’ চক্রটির। তারা জমিটি আত্মসাত করতে ছলে, বলে, কৌশলে দখল করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। তার মতে, মৌলভী আজিজুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন চক্রটি ওই জমিটি তাদের ছেড়ে দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। অন্যথায় তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়ে যাচ্ছিলেন চক্রটি। হাফেজ মুদ্দাচ্ছির বলেন, আমরা বিষয়টি সামাজিক ভাবে বসে উভয়পক্ষের কাগজপত্র দেখে মিমাংসা করার অনেকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওই চক্রটি আমার বাবার খতিয়ান থেকে জমি কেনার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। বরং তারা ‘গায়ের জোরে’ আমাদের জমিটি দখলে নিতে তৎপর ছিল। তিনি জানান, বিষয়টি ঈদগাঁও থানা ও অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালত পর্যন্ত পৌঁছায়। আদালত বিষয় তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সদর উপজেলার সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশনা দেন। একই সাথে বিরোধীয় জমিতে আইনশৃংখলা বজায় রাখার জন্য ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। তথ্যমতে, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ঈদগাঁও ভূমি অফিসের মাধ্যমে উভয়পক্ষকে আদালতের নির্দেশনা উভয়পক্ষকে অবগত করান।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকালে ঈদগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীমুল ইসলাম নোটিশ দিতে পোকখালী মাদ্রাসায় যান। কিন্তু নোটিশ গ্রহণ না করতে পুলিশের সাক্ষাত না করে মৌলভী আজিজুদ্দিন গং পালিয়ে যান। পরে ২০ ফেব্রুয়ারি এসআই শামীমুল ইসলাম আবারও পোকখালীতে যান এবং ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিবাদী আশরফ আলীর কাছে নোটিশ জারি করেন। তিনি ওই জমিতে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ না করতে মৌখিক ভাবে নির্দেশনা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ওই নোটিশ পাওয়ার পর এদিনই গভীর রাত ২টার দিকে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের ব্যবহার করে মৌলভী আজিজুদ্দিন গং আরসিসি পিলার ও নেট ব্যবহার করে জমিটি ঘিরে ফেলে। বিষয়টি রাতেই দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই শামীমুল ইসলামকে জানানো হয়। হাফেজ মুদ্দাচ্ছির আক্ষেপ করে বলেন, ভূমিদস্যু চক্রটি আমাদের পরিবারের একমাত্র সম্পদটি আত্মসাত করে সর্বনাশ করে ফেলেছে।

আইনের আশ্রয় নিতে গিয়ে উল্টো আমরাই ক্ষতিগ্রস্থ হলাম। ‘ভূমিদস্যু সন্ত্রাসি’ মৌলভী আজিজুদ্দিন গং’র কাছে আইন, প্রশাসন, পুলিশ সবই যেন অসহায়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মরহুম হাফেজ ছৈয়দ নূরের স্ত্রী মাজেদা বেগম, ছেলে ইফতেখার মাহমুদ তালহা ও মেয়ে জামাতা মাওলানা খালেদ সাঈফী। প্রসঙ্গত, পোকখালী এমদাদিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন মাওলানা মোকতার আহমদ। তাঁর মৃত্যুর আগে ছেলে মৌলভী আজিজুদ্দিনকে ওই মাদ্রাসার পরিচালক নিযুক্ত করে যান। মৌলভী আজিজুদ্দিন মাদ্রাসাটির পরিচালক হওয়ার পর থেকে মরহুম হাফেজ ছৈয়দ নূরের জমিটি জবরদখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা