বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দ্বীপটি ঘিরে উন্নয়নের যে এলাহি কারবার চলছে তা অবিশ্বাস্য! বিশাল আয়োজনে চলছে সমুদ্র থেকে দ্বীপটিকে রক্ষার কাজ। চারপাশে বেশ পরিকল্পনার ছাপ। সরকারের বিনিয়োগ সবমিলে হাজার দশ কোটি টাকা মনে হয় হয়ে গেছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আছে নানা প্রকল্প।চমৎকার ব্যবস্থাপনার সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দিতেই হবে ।
তবে বিনামূল্যে খাওয়া, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ, গ্যসসহ থাকার ভাল পরিবেশ সত্ত্বেও অনেক রোহিঙ্গা এখনও বেশ অসন্তুষ্ট, কাজের সুযোগ নাই বলে। কক্সবাজারে আয়-উপার্জনের অনেক পথ খোলা ছিলো, এখানে সেই সুযোগ কম। ফলে তাঁদের কাছে নগদ টাকা কম। এখানে কলকারখানা করা যেতে পারে। তবে আবাসিক পরিবেশ কক্সবাজারের তুলনায় হাজার গুনে ভাল। একজন রোহিঙ্গা বলছিলেন, এখান থেকে কক্সবাজার গিয়ে দুইদিনের বেশি তিনি থাকতে পারেন নি। এই দুইদিন তাঁর কাছে মনে হয়েছে দুই বছর!
শিশু -কিশোর, অনেক যুবকই অলস সময় কাটায় বলে মনে হলো। এদেরকে শিক্ষাসহ নানা কাজে সম্পৃক্ত করা খুব জরুরি। নইলে বিপথে চলে যেতে পারে।
দ্বীপে আছে প্রায় সবগুলো মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ার। নেটওয়ার্ক তাই বেশ ভাল, ৪জি পাচ্ছি ইন্টারনেটে। এখানে এসে কোথায় থাকবো- কেমন হবে থাকা – এই নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিলো বেশ। অথচ প্রায় ২-৩ তারকা মানের থাকার ব্যবস্থা আছে এখানে! বেশ বড় একটা রুমে আমাদের থাকার ব্যবস্থা। নির্মাণ চলছে পাঁচ তারকা হোটেলেরও, আছে সুপার শপ!!