1. admin@upokulbarta.news : admin :
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন

সম্ভব হলে আমি জায়েদ খানকে ভোট দিতাম! মুজিবুল হক মনির

মুজিবুল হক মনির
  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২২
  • ১৮৫ বার পঠিত
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে এফডিসি এবং মিডিয়া এবার বেশ সরগরম। এবারের নির্বাচন নিয়ে সবার আগ্রহ, উত্তেজনা বেশ প্রবলই মনে হচ্ছে। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী, নায়ক এবং পর পর দু’বারের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে ঘিরে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জায়েদ খানকে নিয়ে হাসাহাসি, ঠাট্টা-মশকরা করছেন। আমি ভিতরের খবরাখবর তেমন জানি না, কিন্তু জায়েদ খানকে আমার পছন্দ। এর বেশ কিছু কারণ আছে, এর একটি হলো- গণমাধ্যমে জায়েদের আত্মবিশ্বাসী, স্পষ্ট উচ্চারণ। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে আমি তাকে বেশ সাবলীল, তথ্যভিত্তিক জবাবই দিতে দেখি।
জায়েদ খানের প্রতি আমার সমর্থনের আরেকটা বড় কারণও আছে! কিছুদিন আমরা এক ধরনের বন্ধুই ছিলাম বলা চলে। তাঁর মাঝে একজন অভিনেতা হওয়ার, মিডিয়া জগতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দারুণ এক প্রচেষ্টা আমি দেখেছি ৯৭-৯৮ সালের দিকে। সে কথাটাই বলি আগে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিকে আমি শেওড়াপাড়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী বাসে করে ক্যাম্পাসে আসতাম। জায়েদ খানও শেওড়াপাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকেই উঠতো। লম্বা আর সুঠাম দেহের অধিকারী আর ফ্যাশনেবল সাজ-পোশাকের জয় (এটাই ওর ডাক নাম) খুব সহজেই সবার নজর কাড়তো। একই ব্যাচের হওয়ায় কিভাবে কিভাবে যেন জয়ের সঙ্গে একটা খাতির হয়ে গেলো। আমি বাসে বেশ মজা করতাম, সেখানেই একদিন যোগ দেয় জয়, তথা জায়েদ। প্রায় প্রতিদিন জয়সহ আমরা কয়েকজন বৈশাখী বাসে যাওয়া-আসা করতাম। জয় জানিয়েছিলো সে জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী খালিদ হাসান মিঠুর ভাতিজা। সেও তারকা হতে চায়, কিন্তু চাচার পরিচয়ে নয়।
মিডিয়া জগতে আসার ইচ্ছা জায়েদ খানের কতটা তীব্র ছিলো তার একটা উদাহরণ দিই। জয বা জায়েদ খান পড়তো ইসলামিক স্টাডিজে। একদিন হুট করে বাসে উঠতে উঠতে জানালো, ‘মাইগ্রেশন করে ফেলেছি, এখন ইতিহাসে!’ মানে ইসলামিক ইতিহাস বদলে সে ভর্তি হয়েছে ইতিহাস বিভাগে। কারণ তার ফ্যাশনেবল পোশাক-আশাক, হাই হিল জুতা, মডেলিংয়ের নেশার সঙ্গে ইসলামিক স্টাডিজ ঠিক যায় না!!
দেখা হলেই জায়েদ খান তার বিভিন্ন চেষ্টার খবরগুলো জানাতো। একদিন বেশ উচ্ছ¡াস নিয়ে জানালো বিটিভির একটি অনুষ্ঠানে কয়েক সেকেন্ডের মতো তাকে দেখা যাবে। দেখেছিলামও। হঠাৎ একদিন দেখি ব্রিটল বিস্কুটের বিজ্ঞাপনে জয় মডেল! সেই থেকে শুরু। ধীরে ধীরে জয় বাংলা সিনেমার নায়ক এবং শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। অবশ্য অভিনয় এখনো মনে রাখার মতো কিছু করতে পেরেছে কি না জানি না। তবুও বন্ধু জয়কে আমি ভোট দিতামই! বলে রাখা ভালো, ক্ষণিক সময়ের সেই বন্ধুত্ব জায়েদ খানের মনে না থাকাটাই বোধকরি খুব স্বাভাবিক।
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি জায়েদ খানকে বেশ সরব দেখেছি। জায়েদের কোনও সংবাদ গণমাধ্যমেত আসলে মনযোগ দিয়েই আমি পড়ি। দেখেছি কোনও শিল্পী মারা গেলেই জায়েদ সেখানে হাজির, করোনার সময় সে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, বিপদে অনেক শিল্পীর পাশে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন আগেও তথাকথিত মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে জায়েদ এক অভিনেতাকে বন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধার করেছে। শিল্পী সমিতির পাশের মসজিদ উন্নয়ন, সমিতির অফিসে ফ্রিজ, কফি মেশিন বসানোসহ অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে জায়েদ খানের কমিটি।
জায়েদ খানকে নিয়ে হাসাহাসি করতে দেখি অনেককেই। সেটা করা যেতেই পারে। কিন্তু আমরা কেন যেন শুধু মানুষেন ব্যর্থতা নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করতে খুব পছন্দ করি, তার সাফল্যের জন্য কোনও দরজা খুলে দিতে আমাদের ভীষণ কার্পণ্য!
জায়েদ খানের সাফল্য কামনা করি।
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা