চরফ্যাসনের মেঘনায় শীত মৌসুমের মাঝামাঝি সময় শেষ হলেও মৎস্যজীবিদের জালে বড় ইলিশের তেমন দেখা নেই। সরকার জাটকা সংরক্ষন অভিযান দেওয়াতে নদীতে জাটকার বিপরীতে ধরা পড়ছে কম সংখ্যক বড় সাইজের ইলিশ। এতে মৎস্যজীবিসহ আড়দদারগন গুনতে হচ্ছে লোকসান।
সরেজিমে গিয়ে মৎস্য ঘাট ঘুরে দেখা যায়, বর্ষার মৌসুমে চরফ্যাসনের প্রতিটি মৎস্য ঘাট গুলোতে যে রকমের হাক ডাক দিয়ে বড় ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যেত, শীত মৌসুমে সে পরিমান বড় মাছের জমজমাট বেচা কেনা নেই বললেই চলে। প্রতিবছর দৈনিক এ সময় উপজেলার মৎস্য ঘাট, বাজার ও একটি আড়দে ৫০-৬০ মণ বড় ইলিশ বিক্রি হতো। এবার এসব স্থানে মাত্র ২০-২৫ মণ বিক্রি হচ্ছে।
নতুন সুলিজ মৎস্য ঘাটের আবুল কালামসহ আরো অনেক মৎস্যজীবি বলেন, এখন নদীতে জাটকা অবরোধ থাকায় ঘাটে বসেই জাল মেরামতের কাজ করছেন। শীতে নদীতে বড় মাছের তুলনায় ছোট ইলিশের পরিমান বেশি থাকায় নদীতে তেমন যাওয়া হয় না। ছোট মাছের দাম খুব কম এতে মাদ্রাজ নতুন সুলিজ ঘাট সহ প্রায় সব ঘাটের জেলেরাই খুব কষ্টে দিন পাড় করছে।
মাদ্রাজ নতুন সুলিজ মৎস্যঘাটের আড়দদার নোমান বলেন, নদীতে এখন ১০-১২ ইঞ্চি সাইজের ইলিশ বেশি। জাটকা বাদ দিয়ে প্রায় ৩শত গ্রাম থেকে ১ কেজি সাইজের ইলিশ এখন বেশি আসে। প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ মন ছোট- বড় ইলিশ আহরন হয় এই ঘাটে। এতে সকল জেলে ও আড়দারদের খরচ পুষিয়ে লাভের তুলনায় লোকাসান বেশি হয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মারুফ মিনার জানান, প্রতি বছরই ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষন অভিযান পলিত হয়। অক্টোবর মাসে মাছ ডিম ছাড়ার পরে বড় হতে সময় লাগে বলেই শীতে ইলিশের সাইজ ছোট থাকে। এখন নদীতে প্রচুর পরিমনে ১০ ইঞ্চির উপরের মাছ ধরা পড়ছে। ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে মাছের সাইজ বড় হয়ে যাবে আর মৎস্যজীবিরা লাভবান হবে।