করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।ভয়ঙ্কর করোনা ভাইরাসের থাবার স্বীকার বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত আক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৩ জানুয়ারী থেকে সর্বপ্রকার যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকার সনদ ধারী হতে হবে।কিন্তু সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে ভোলা-চরফ্যাশন ও চরফ্যাশন-দক্ষিন আইচা, ভোলা দৌলতখান রুটে চলমান ১৮৬ টি বাসের প্রায় পাঁচ(০৫) শতাধিক চালক-হেল্পাররা কোভিড-১৯ টিকা সনদ ছাড়াই যাত্রী পরিবহন করছে।এতে অধিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে রয়েছে সাধারণ ২২ লক্ষ মানুষ।
তবে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথ কর্তৃপক্ষ,বাস মালিক সমিতি ও প্রশাসনের উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যেগ চোখে পড়ার মত নয়। চরফ্যাশন থেকে ভোলার বাস যাত্রী কেয়া বেগম বলেন,আমরা অনেক যাত্রী টিকা নিয়েও ঝুঁকিতে রয়েছি।কারন ড্রাইভার ও হেল্পাররা অনেকেই টিকা সনদতো দুরের কথা নিয়মিত মাক্স ব্যাবহার করছেন না।একই রুটে আরো একজন যাত্রী হুমায়ুন বলেন,পরিবহন শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন যাত্রীর সংস্পর্শে আসছেন।আমরা অধিক ঝুঁকিতে রয়েছি।প্রশাসনের দ্রুত কার্যকরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এছাড়াও কথা হয় চরফ্যাশন বাস টার্মিনালের পরিবহন শ্রমিক আক্তার হোসেন,শাকিল ও করিমের সাথে তারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা,নিয়মিত মাক্স পড়া এসব কিছু হালকা ভাবেই নিচ্ছেন।তাদের কাছে করোনা ভাইরাস বলতে যেন কিছুই নেই।বেশিরভাগ পরিবহন শ্রমিক গ্রহন করেননি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন।পরিবহন শ্রমিকদের এমন অবহেলা যেন দুশ্চিন্তার কারন সাধারণ যাত্রীদের। এ বিষয়ে ভোলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামের সাথে কথা বললে তিনি জানায়,আমরা কেন্দ্রীয় বাস মালিক সমিতি ও প্রশাসনের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত এমন কোনো নিদের্শনা পাই নি।তাই এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল আল নোমান জানায়,ভোলা বাস মালিক সমিতির নিকট সরকারি পরিপত্র প্রেরন করেছি এবং বলে দিয়েছি আপনার সমিতির চালক ও সহকারীদের টিকা নেওয়া থাকলে যেন সনদ ও রেজিষ্ট্রেশন কার্ড যেন সাথে থাকে।এছাড়া প্রতিনিয়ত মনিটরিং চলছে। ভোলা জেলা প্রশাসক তৌফিক ই-লাহী চৌধুরির মুঠোফোনে কল দিলে এ বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।