স্বাভাবিক চলছে দৈনন্দিন কাজকর্ম। পুরোপুরি সুস্থ তিনি। হঠাৎ করে সুস্থ-সবল মানুষটাকে নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ গভীর রাতে ছড়িয়ে পড়ে মৃত্যু গুজব।
চিত্রনায়ক আলমগীরের মৃত্যুর এমন গুজবে ক্ষুব্ধ তাঁর স্ত্রী উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে রুনা লায়লা এ ক্ষোভের কথা জানান।
গত এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত আলমগীরকে নিয়ে আরেকবার মৃত্যু গুজব ছড়িয়েছিল। কয়েক মাসের ব্যবধানে আবারও এমন গুজবে বিরক্ত ও মর্মাহত রুনা লায়লা। ক্ষুব্ধ এ শিল্পী বলেন, ‘কী বলব ভাষাই খুঁজে পাচ্ছি না। যিনি বা যাঁরা এমনটা করছেন, তাঁরা কী ধরনের পৈশাচিক আনন্দ খুঁজে পান, তা–ও তো বুঝি না। এ ধরনের খবর ছড়ানোর পেছনে তাঁদের কী ধরনের রুচি বা উদ্দেশ্য কাজ করে, সেটাও মাথায় আসে না।
একজন পরিপূর্ণ সুস্থ মানুষকে নিয়ে মৃত্যু খবর ছড়িয়ে দেওয়ার পর তাঁর পরিবার কী পরিমাণ মানসিক চাপের মধ্যে থাকে, তা তো শুধু ভুক্তভোগীরাই বুঝতে পারেন। গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর চারদিক থেকে ফোন আসা শুরু করে। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সবাইকে এ রকম অস্থির অবস্থার মধ্যে ফেলে ওই চক্ররা কী মজা পায়, কী লাভ হয়, কিছুই বুঝি না। আমরা সত্যিই ভীষণভাবে মর্মাহত।’
১৯৭৩ সালে ‘আমার জন্মভূমি’ চলচ্চিত্র দিয়ে ঢালিউডে পথচলা শুরু হয় আলমগীরের। জ্যেষ্ঠ শিল্পীদের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবেও সফল এই অভিনেতা।
বিনোদন অঙ্গনের মানুষদের নিয়ে কিছুদিন পর পর মৃত্যু গুজব ছড়ায় কুচক্রী মহল। এর আগে ফকির আলমগীর, এন্ড্রু কিশোর, এটিএম শামসুজ্জামান, আজম খান, আইয়ুব বাচ্চুসহ অনেকেই সুস্থ থাকলেও তাঁদের নিয়ে মৃত্যু গুজব ছড়ানো হয় ফেসবুকে। ফেসবুকে এমন খবর ছড়ানোর কারণে এসব বরেণ্য শিল্পীর পরিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে বিভিন্ন সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।