পটুয়াখালীর বাউফল-বরশিাল মহাসড়কের প্রায় ২০০ মিটার অংশ জুড়ে বিশাল ধসের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে বাণিজ্যিক এলাকা কালিশুরী ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা এবং বরিশাল শহরে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই মহাসড়ক। প্রায় এক মাস আগে মহাসড়কটির গাজিমাজি এলাকার আলগী নদীর তীরে বিশাল অংশ ধসে পড়ে। এতে যানচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। ঘটছে দুর্ঘটানাও। সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে । চড়ম ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
থ্রি-হুইলার গাড়ি চালক মজিবর আকন বলেন, এই স্থানটি আগে একাধিকবার ধসে পড়েছে। তাই পুনঃনির্মাণ কাজের সময় আরসিসি পাইলিং ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু পাইলিংয়ের কাজ অত্যন্ত নিম্ন মানের হয়েছে। তাই পাইলিং দিয়ে সড়কেরর ধস রোধ করা যায়নি।
ট্রাকচালক হামিদ মিয়া বলেন, স্থানটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গাড়ির চাকা যেকোনো সময় খাদে পড়ে প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ধসের কারণে রাস্তা সরু হয়ে গেছে। দুইটি গাড়ি ক্রোস করতে পারে না।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান খান বলেন, সড়কের ধসে পড়া স্থান দ্রুত মেরামত করতে হবে। না হলে উপজেলা সদরে সাথে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ধসের দীর্ঘ দুই মাস অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে দেখেনি। এই স্থানে সতর্কতা সংকেতও দেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে এই মহাসড়কে কয়েকটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটার শিকার হয়েছেন।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পটুয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ বলেন, ধসে যাওয়া স্থান সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। খুব দ্রুত আমরা সংস্কার কাজটি শেষ করব।