কক্সবাজার পৌরসভা ও সদরের খুরুশকুলে ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে দেশের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) কোস্ট ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে শহরের কলাতলীস্থ ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সহায়তার অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এবারের ঘূর্ণিঝড় হামুনে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়কে হার মানাবে। জেলায় ৩৮ হাজার মতো বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মারা গেছে ৩ জন। এখনো অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ হয়নি। ভাঙ্গা বসতবাড়িতে দিন কাটছে অসহায় মানুষদের। মূলতঃ আবহাওয়া অফিসের নিকট থেকে সঠিক বার্তা না পাওয়ায় মানুষ যথাসময়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেনি।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, সরকার সাধ্যমত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু তা ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় নগণ্য। আমাদের যে যার অবস্থান থেকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। কোস্ট ফাউন্ডেশনের মতো আরও অনেক এনজিও আছে, তারাও যদি এগিয়ে আসে তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
মানবিক কর্মসূচির জন্য কোস্ট ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান সাংবাদিক নেতা মোঃ মুজিবুল ইসলাম।
কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক ও কক্সবাজার আঞ্চলিক টিম লিডার জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের মৌলিক কর্মসূচির পরিচালক তারিক সাঈদ হারুন।
তিনি বলেন, কোস্ট ফাউন্ডেশনের ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের সিংহভাগ যে কোনো দুর্যোগকালে বিতরণ করা হয়। আমরা জনগণকে নিয়ে ভাবি। তাই যেকোনো প্রয়োজনে ছুটে যাই। করোনাকালে সর্বাগ্যে মানুষের কাছে ছুটে গেছে কোস্ট ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, কক্সবাজার জেলা ও আদালতের আইনজীবী আবু মুসা মোহাম্মদ ও কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন) এর বার্তা সম্পাদক ইমাম খাইর।
এ সময় কোস্ট ফাউন্ডেশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ আঘাত হানার পর থেকে “সাইক্লোন সুরক্ষা” প্রোগ্রামের আওতায় কুতুবদিয়ার ১৫৭৪টি পরিবারে ১২ লাখ ৫৯ হাজার ২০০ টাকা জরুরী নগদ অর্থ সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে কোস্ট ফাউন্ডেশন।
ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এই সহায়তা পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছে।