শুক্রবার পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনা লগ্নে মহালয়ার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষ্যে বাগেরহাটের ফকিরহাটে এবার জমে উঠেছে পূজার বাজার। কেনাকাটার জন্য পোশাক ও প্রসাধনীর দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
রবিবার (১৪ অক্টোবর) সাপ্তাহিক হাটের দিনে দুর্গাপূজার নতুন কাপড়, জুতা, প্রসাধনী কিনতে ফকিরহাট বাজারের বিভিন্ন দোকানে গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় দেখা গেছে। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা। ষষ্ঠী পর্যন্ত ক্রেতাসমাগম থাকবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। তাসনিন ফ্যাসন, ফকিরহাট ব¯্রালয়, কমলা ক্লথ হাউজ, মিতালী কসমেটিক্স, অনিমা ফ্যাসন সহ বিভিন্ন দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ করা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, এবারের পূজার বাজারে মেয়েদের নায়রা গাউন, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট-টপস, কাতান শাড়ির চাহিদা বেশি। ছেলেদের ফতুয়া, পাঞ্জাবি-পায়জামা, শার্ট, ফুলপ্যান্ট, টি-শার্ট ও জিন্স এবং বাচ্চাদের নানা রঙের পোশাকের সমাহার রয়েছে বিভিন্ন দোকানে।
তাসনিন ফ্যাসনের কর্নধার হাসান রুমি বলেন, এবারের পূজায় ছেলেদের জন্য নতুন ডিজাইনের পাঞ্জাবি, জিন্স ও থ্রি-কোয়ার্টার বেশি বিক্রি হচ্ছে। মেয়েদের নায়রা গাউন, হাতে কাজ করা থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা ও সর্টস বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাতান শাড়িরও ক্রেতা রয়েছে।
পূজার জন্য কেনাকাটা করতে আসা বাসন্তী ভৌমিক বলেন, ‘দুর্গাপূজায় আনন্দ উপভোগের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসব উদযাপন করব। তাই সবার জন্য কম বেশি কিনতে এসেছি।’ ক্রেতা তপতি দাশ বলেন, ‘কেনাকাটায় কোনো কিছু বাদ দেব না। সব কিনব নতুন। পোশাকের পর কসমেটিক্স কিনবো। নতুন জুতোও কিনবো।’
আহম্মদিয়া লাইব্রেরী এন্ড কসমেটিক্সের স্বত্বাধিকারী জাহিদ হাসান বলেন, ‘গত বছর পূজার বাজারের চেয়ে এ বছর মোটামুটি ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। ক্রেতাদের সংখ্যাও অনেক।’
ফকিরহাট বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল দাশ জানান, উপজেলার প্রধান বানিজ্যকেন্দ্র ফকিরহাট বাজারে এবছর দুর্গাপূজায় ভালই কেনাকাটা হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার মানসা বাজার, টাউন নওয়াপাড়া বাজার ও লখপুর বাজারে পুজার বিক্রি জমে উঠেছে।
ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ জানান, এবছর ফকিরহাটে ৭০টি মণ্ডপে সার্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী সকল ধর্মের লোক মণ্ডপে আগমন করেন। মন্ডপগুলোয় উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। ##