বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লখপুরের ভট্রখামার এলাকায় প্রাকৃতিক খালে জাল-পাটা দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিল কিছু অসাধু মাছ শিকারী। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে খাল থেকে অবৈধ জাল-পাটা উচ্ছেদ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফা বেগম নেলী। পরে জব্দকৃত জাল-পাটা পুড়িয়ে দেয়া হয়।
এসময় দুই মৎস্য শিকারীকে জরিমানা করা হয়। জাল-পাটা দিয়ে মাছ শিকারের ফলে ওই খালের পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ ব্যহত হয়ে খালের নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছিল বলে জানান স্থানীয় মানুষজন। এছাড়া ঘন ফাঁসের অবৈধ জাল ব্যবহার করার ফলে দেশি মাছের পোনাসহ সব ধরণের মাছ মারা যাচ্ছিল বলে মৎস বিভাগ জানায়।
মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট) দুপুর ১২টায় উপজেলার ভট্রখামার খালে অভিযানে মৎস্য শিকারী ইব্রাহিম শেখ ও সেকেন্দার মোল্লাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী।
এসময় উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা জ্যোতি কনা দাস, পেশকার মো. মিজানুর রহমান ও থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফা বেগম নেলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার ভট্রখামার খালে কয়েকজন মৎস্য শিকারী অবৈধ ভাবে জাল-পাটা পেতে মৎস্য শিকার করে আসছিল। এতে করে পানি চলাচলে বিঘœসহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছিল। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জাল-পাটা জব্দ করে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় দুই মৎস্য শিকারীকে জরিমানা করা হয়।