বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা মৎস্য আড়ৎ-এ ভেনামী চিংড়ি মাছের পোনা বিক্রির নামে ভিন্ন মাছের পোনা বিক্রির সময় প্রায় ৩ লাখ পোনা জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত ভিন্ন মাছের পোনা কালীগঙ্গা নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ ও মৎস্য চাষিরা জানান, ফকিরহাটে দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট কোটি কোটি ভেনামী চিংড়ি মাছের পোনা বিক্রির নামে ভিন্ন মাছের পোনা বিক্রি করে আসছে। হাতিয়ে নিচ্ছে সাধারণ চাষিদের টাকা। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন স্থানীয় মৎস্য চাষিরা। সরকার অনুমোদিত এসব ভেনামী চিংড়ি ভারত থেকে আনা হচ্ছে বলে চটকদার প্রচারণা চালাচ্ছে সিন্ডিকেট। অধিক উৎপাদনশীল ভেনামী চিংড়ির চাহিদা থাকায় সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রতারণা করে বিভিন্ন মাছের পোনা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করে আসছিল বলে জানা যায়।
শনিবার সকালে উপজেলার ফলতিতা মৎস্য আড়তে এক ব্যক্তি ওই ভিন্ন মাছের পোনা বিক্রির সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ মৎস্য চাষি ও মৎস্য ব্যবসায়িরা প্রায় ৩ লাখ ভিন্ন মাছের পোনা জব্দ করে। এসময় মাছের পোনা বিক্রি করতে আসা ওই ব্যক্তি দ্রুত দৌড়ে একটি চলন্ত বাসে উঠে পালিয়ে যায়।
পরে জব্দকৃত ভিন্ন মাছের পোনা ফলতিতা কালীগঙ্গা নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট হিটলার গোলদার, উপজেলা মৎস্য বিভাগের মাঠ সহায়ক কর্মী শেখ সাব্বির আহম্মেদ শুভ, কমলেশ দাশ, থানা পুলিশের উপপরির্দক সাহাবুর রহমান সহ স্থানীয় মৎস্য চাষি ও ব্যবসায়িরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মূলঘর ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট হিটলার গোলদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট ভেনামী চিংড়ি মাছের পোনার কথা বলে ভিন্ন মাছের পোনা বিক্রি করে আসছে। এদিন ওই ব্যক্তি পোনা বিক্রি করতে আসলে তাকে চেলেঞ্জ করা হয়। এসময় সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে উপজেলা মৎস্য বিভাগের লোকজন এসে ভিন্ন মাছের পোনা শনাক্ত করেন। এরপর তা খালে সকলের উপস্থিতিতে নদী অবমুক্ত করা হয়।