1. admin@upokulbarta.news : admin :
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
এমপি মুকুলের সাথে ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময় সাংসদ মুকুলের সাথে ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাব‘র নব নির্বাচিত কমিটির শুভেচ্ছা বিনিময় তালতলীতে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের শিক্ষাবৃত্তি রাজশাহী কারাগারে হাজতির মৃত্যু শুঁটকির নমুনা ল্যাব পরীক্ষার মাধ্যমে ২০জন উদ্যোক্তাদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করল কোস্ট ফাউন্ডেশন ফকিরহাট নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত তৃণমূলে জনঅংশগ্রহণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা বৃদ্ধি করে : স্বপন দাশ দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই, আকাশে চাঁদ উঠলে সবাই দেখবেন-এমপি শাওন দ্বিতীয় বার ভোলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন তজুমদ্দিন থানার মাকসুদুর রহমান মুরাদ বাগমারায় তৃণমূল আ.লীগের এক সময়ে ১৮ টি ইউপি ও ২টি পৌরসভায় সরকারের উন্নয়ন শোভাযাত্রা

ভোলার মা-সংসদ দাবী করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশের

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩
  • ৬৭ বার পঠিত

ভোলার মা-সংসদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবী জানিয়েছে।
শনিবার (২২ জুলাই) মা-সংসদ প্রতিনিধিদের মারফত জানা যায়, প্রতি বছরই হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসারসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে মৃত্যুবরণ করে, যার অন্যতম কারণ বিভিন্ন ধরনের তামাক পণ্য যেমন সিগারেট, বিড়ি, জর্দা গুল ইত্যাদির ব্যবহার।
সীমা রানী মন্ডল ডেপুটি স্পীকার মা-সংসদ বলেন, তামাক জাতীয় দ্রব্য যেমন বিড়ি, সিগারেট সেবন করার ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সারসহ নানা রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়। ডরপের ট্রেনিং থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, তামাক জাতীয় পণ্য সেবনের ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এছাড়াও লাখ লাখ মানুষ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টের মতো রোগে আক্রান্ত হয়। আমরা বিশ্বাস করি যদি প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রন আইন দ্রুত পাশ হয় তাহলে অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচবে এবং এসব রোগের হার কমে যাবে।
ফৌজিয়া খানম লাইজু ডেপুটি স্পীকার, মা-সংসদ বলেন,বিড়ি ও সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রয় হওয়ার ফলে কিশোর ও যুবকরা অল্প দামে কিনে খাওয়া শেখে। ফলে তাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে খুচরা শলাকা বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই আমি মনে করি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন যদি তাড়াতাড়ি পাশ হয় তাহলে খুচরা শলাকা বিক্রয় বন্ধ হবে। কিশোর ও যুবকেরা কিনতে পারবে না। ফলে ১০ লক্ষ তরুন ধুমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে। শাহানা বেগম ভোকাল সদস্য, মা-সংসদ বলেন, যারা বিড়ি সিগারেট খায় না, তাদের বিড়ি সিগারেটের ধোয়াতে স্বাস্থ্যোর সমান ক্ষতি হয়। রাস্তাঘাটে, রেস্টুরেন্টে, লঞ্চ, ট্রেন,ও খোলা জায়গায় মানুষ সিগারেট খাওয়ার ফলে মানুষ পরোক্ষ ধুমপানের স্বীকার হয় । প্রস্তাবিত তামাক আইনে এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যদি প্রস্তাবিত আইনটা তাড়াতাড়ি পাশ করা হয় তাহলে পরোক্ষ ধূমপান থেকে মুক্তি পাবে । বিশেষ করে নারী ও শিশুরা এর মূল সুফল পাবে।
“তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট মা-সংসদের দাবী যেন সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশ করা হয়।“
উল্লেখ্য যে, বিগত দুই বছর যাবত বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে দাবি-দাওয়া করে আসছিলেন। অবশেষে, ২০২২ সালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি বিশ্বমানে উন্নীত করতে সংশোধনী প্রস্তাব প্রণয়ন করে। ১৬ জুন ২০২২ তারিখে সংশোধনী প্রস্তাব জনমত যাচাইয়ের জন্য জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে এবং সংশোধনীর পক্ষে ১৬০০০ জনেরও অধিক ইতিবাচক মতামত প্রদান করেন। মতামত প্রদানকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ১৬৯ জন সাংসদ। ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে চূড়ান্ত সংশোধনীটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাথমিক যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রীপরিষদে প্রেরণ করা হয়। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কর্তৃক যাচাইবাছাই পূর্বক খসড়াটি পাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত ও সংশোধিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অন্যতম ৬ টি ধারা হলো-সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক দ্রব্যের প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাক পণ্যের সকল প্রকার খুচরা শলাকা বিক্রয় বন্ধ করা এবং বিড়ি ও সিগারেটের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৯০% করা।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা