পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর বাউফলে নিজ বাড়িতে ২৫ বছর বয়সী ভাতিজিকে ধর্ষণের দায়ে চাচা ফোরকান মোল্লা (৫৫) কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ জামাল হোসেন এ আদেশ দেন।
এই মামলায় ধর্ষক ফোরকান মোল্লা হাইকোর্ট থেকে আজকের পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। তবে আজকে চীফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হওয়ার তারিখ থাকায়, আসামি হাজির হলে, তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করার আদেশ দেন। মামলা নং জিআর ০৩/২০২৩।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাউফল থানাধীন সূর্য্যমনি ইউপির রামনগর এলাকার বাবুল মোল্লার চার সন্তানের মধ্যে ১ ছেলে ও ২ মেয়ে প্রতিবন্ধী। এরমধ্যে এক প্রতিবন্ধী (২৫) মেয়ে ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকেলে নিজ বসত বাড়ির বারান্দায় বসে ছিলো। ধর্ষণের শিকার নারীকে বসিয়ে, তার ভাইয়ের বউ (৩৫) তার প্রতিবন্ধী ভাইকে খাবার দেওয়ার জন্য পিছনের ঘরে যায়।
কিচ্ছুক্ষণ পরে বারান্দায় আসিয়া তার ননদকে দেখতে না পাইয়া, প্রতিবন্ধী স্বামীকে ইশারার মাধ্যমে বুঝাই যে, আমার ননদ ভিকটিম প্রতিবন্ধী কে পাওয়া যাইতেছে না।
পরে আমি এবং আমার স্বামী শাহ আদম মোল্লা আমার ননদকে বাড়ীর আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করিয়া কোথাও না পাইয়া পুনরায় ঘরের মধ্যে আসিয়া ভুক্তভোগী নারী (২৫) ঘরের মাঝখানে দাড়াইয়া কান্না করিতেছে। তখন সে ভিকটিমকে জিজ্ঞাসা করিলে সে বলে, আসামী ফোরকান মোল্লা আমার ননদ ভিকটিম মোসাঃ কহিনুর বেগমকে জোর করিয়া ঘর থেকে টানিয়া
তাহার ঘরে দিয়া মুখ বাধিয়া ঘরের মাঝখানে মেজেতে ফালাইয়া জোর পূর্বক ধর্ষন করিয়াছে। এসময় ভিকটিমে কাপড় চোপর পরীক্ষা করিয়া দেখি তাহার সেলোয়ার কামিজে বীর্জ লেগে আছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো আল আমিন হাওলদার জানান, আসামী ফোরকান মোল্লা এতদিন হাইকোর্টের আদেশে জামিনে ছিলেন, আজকে চীফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে আসলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি বাউফল থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন ধর্ষণের শিকার নারীর ভাইয়ের বউ (৩৫)। মামলাটি বর্তমানে বাউফল থানায় তদন্তাধীন আছে।