1. admin@upokulbarta.news : admin :
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
এমপি মুকুলের সাথে ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময় সাংসদ মুকুলের সাথে ভোলা জেলা অনলাইন প্রেসক্লাব‘র নব নির্বাচিত কমিটির শুভেচ্ছা বিনিময় তালতলীতে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের শিক্ষাবৃত্তি রাজশাহী কারাগারে হাজতির মৃত্যু শুঁটকির নমুনা ল্যাব পরীক্ষার মাধ্যমে ২০জন উদ্যোক্তাদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করল কোস্ট ফাউন্ডেশন ফকিরহাট নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত তৃণমূলে জনঅংশগ্রহণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা বৃদ্ধি করে : স্বপন দাশ দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই, আকাশে চাঁদ উঠলে সবাই দেখবেন-এমপি শাওন দ্বিতীয় বার ভোলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন তজুমদ্দিন থানার মাকসুদুর রহমান মুরাদ বাগমারায় তৃণমূল আ.লীগের এক সময়ে ১৮ টি ইউপি ও ২টি পৌরসভায় সরকারের উন্নয়ন শোভাযাত্রা

বাবা দিবসে বাবার স্মৃতি-সোহেল মাহমুদ

ডেস্ক নিউজঃ
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩
  • ২১১ বার পঠিত
মরহুম মো: নুর হোসেন মাস্টার, জম্ম তারিখ:১৯৪৯ মৃত্যু: ২১ অক্টোবর-২০১২

সোহেল মাহমুদঃ

বাবার ভালবাসা চুমু যেন এখনো কপালে অনুভব করি,বাবা তুমি একজন শিক্ষক তার সাথে অতূলনীয় ব্যক্তিত্ব,তোমার ব্যক্তিত্বের কাছে সর্বদা শ্রদ্ধায় অবনত হয়েছি,তোমার আদর্শ,মানবিকতা ও নৈতিকতা ধারণ করে আজও পথ চলছি।
যখন ভোলা থেকে বাড়িতে যাই, রাস্তায় তোমার কথা খুব বেশি মনে পড়ে, কারন যখন কক্সবাজার থেকে রওনা দিতাম তুমি ২০ মিনিট পরপর ফোন করে বলতে কতদূর কি খেয়েছ সাথে পানি আছে? বাসে বসে হাত যেন জানালার বাহিরে না দেই আর কত কিছু,যা আজ আমার স্মৃতি, যখন বাসস্টান্ড আসে পৌছতাম তখন কোন দোকার খোলা থাকত না, বাবা রিকসা নিয়ে পয়চারি করত আর পানখেত, বাসথেকে নেমে দেখি দাড়িয়ে দেখে মনে হয় তার চাঁদ হাতে পেত কি দারুন হাসি আপেক্ষার কস্ট যেন ১ মিনিটে পানি হয়ে গেল।
বুকে টেনে নিয়ে জড়িয়ে ধরত আর চুমুখেত নিজের গামছা দিয়ে মুখ মুছে দিত কারন বাবার গামছা তখন একটা গন্ধ আসত ভাল লাগত না তবু মেনে নিতাম, রিকশায় উঠে কত প্রশ্ন করত যার জবাব দিতে দিতে খারাপ লাগত তবুও বাবাতো শুধু মাথা নারাতাম।
এখন আর কেউ রাত জেগে বাসস্ট্যান্ডের পাশে অপেক্ষা করে না,জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খায় না,গামছা দিয়ে মুখ মুছে দেওয়া ,বাসার সবাই রাগ করত ,মা বলতেন তোমার ছেলে কি ছোট বৃস্টি বা শীতের মাঝে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে?
বাবা বলতেন:
সোহেল ছোট মানুষ ভয় পাবে রাস্তায় অন্ধকার,রিকসা এত রাতে পাবে না আর কত আজুহাত, হায়রে বাবা তুমি আজ পৃথিবীর মাঝে নেই তবু তোমার স্মৃতি আমার হ্নদয়ে বহমান।
আমাদের বাড়িতে কারেন্ট ছিল না গ্রামের বাড়ি কিন্তু বাবা আমার পাশে বসে বাতাস করত,রাগ করতাম কিন্তু মানত না কারন তার মতে আমাকে আদর করে বাবু বলে ডাকত বলত এইতো একটু ঘুম পড়লে বাতাস বন্ধ করে দিব।
বাবার কিছু কাজ :
বাবা সকালে ফজর নামাজ পড়তো মসজিদে যেতেন এসে পাশে শুয়ে যেন বুকে জড়িয়ে ধরত, সকালের কান্ড মা গরম ভাত রান্না করছে দেখে না দেখার ভান করে দোকান থেকে ২ টি পরাটা আর ভাজি আসত তার আসার আগে আমি ভাত খেতেনবসে পরেছি, দোকান থেকে এসে আমাকে খেতে দেখে কালো মানুষ যেন তার মুখটা আরো কালো হয়ে, আমি বুঝতাম বাবার গামছার নীচে কিছু আছে, তাই মায়ের ভয়ে একটু ভাত খেয়ে বাবা বলতাম চল আমরা বাগানে যাই, বাবাকে নিয়ে বাগানে গেলাম বাবা গামছার ভিতর থেকে রুটি আর ভাতি বের করে আমাকে বলব খেয়ে না বাবু আমি বলতাম খাব না, বাবা বলত আমি তোকে খাইয়ে দেই, সামনে রুটি রাখব বাবা আমাকে খাওয়া আমি বাবাকে হায়রে স্মৃতি এখন বাবা গায়ের ঘামের গন্ধ গামছায় পাই না সব যেন চোখের সামনে জলজল করে ভাঁসে।
ছুটি শেষ হবার আগের দিন বাবার মন কেন যেন উদাসিন, কারো সাথে ভালো করে কথা বলে না, স্কুলে যায় না, যেন এক বিরহ বাড়ি থেকে সকালে রওনা ভোলা কক্সবাজার যাব কিন্তু বাবাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না, না বলে চলে আসতাম কিন্তু সে আড়ালে আমাকে দেখত আর চোখের পানি ফেলত , আমার বউ বলত তুমি যাও আমি বাবাকে দেখব।
বিদায়ের কেন আমার সাথে যায় না মা তার কাছে জানতে চাইলে বাবা বলতেন, বাবুকে গাড়িতে তুলে দেওয়ার পর আমার পা চলে না।
আল্লাহ তোমাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন, আমিন।

চলমান-

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা